মঙ্গলবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

হেফাজত এসেছিল ঝড়ের বেগে, উল্কার গতিতে

হঠাৎ করেই দেশবাসী দেখল রাজধানীতে শুধু টুপি আর টুপি। পত্র পত্রিকার পাতায় শুধু হুজুরদের ছবি।

টেলিভিশনের পর্দায় দুলতে থাকে এক বৃদ্ধের সফেদ চেহারা, তিনি আল্লামা আহমদ শফি। এইসব দেখে নড়েচড়ে উঠলেন রাজনৈতিক ব্যাক্তিরা।প্রমাদ গুনল নাস্তিক মুরতাদরা। বিশ্লেষকরা বসলেন নতুন ছক কষতে। বাম ঘরানার বুদ্ধিজীবী ফরহাদ মজহার লিখলেন, নষ্ট শহরে হেফাজতের গনবিস্ফোরণ। মানব জমিন লিড নিউজ করল, রাজনীতিতে নতুন শক্তি। বিএনপি এই শক্তিকে ইউজ করতে চাইল। হেফাজতের ভেতরের কেউ কেউ গোপনে অভিসারে লিপ্ত হয়ে পড়লেন বিএনপির সাথে। তার পরের ইতিহাস সবাই জানেন।

আওয়ামীলীগ চিন্তা করল এই শক্তিকে শাপলায় যেভাবে রাতের অন্ধকারে শেষ কর‍তে চেয়েছি তা ভুল হয়েছে। আমরাও পজিটিভলি ইউজ করি। শেখ হাসিনা কওমি আলেমদেরকে ডেকে স্বীকৃতির ঘোষণা দিলেন এবং প্রতিশ্রুতি পুরনও করলেন। হেফাজতের সবাই যে আওয়ামীলীগকে ভোট দিবেনা সেটা আওয়ামীলীগ জানে, তারপরও কেন বামদেরকে পেছনে ঠেলে এই কাজ করতে গেলো? এইখানেই আওয়ামীলীগের দুরদর্শীতার প্রমাণ পাওয়া যায়। আর যাই হোক তাতে বিএনপির একক প্রভাব ধর্মপ্রান মানুষের উপর যেভাবে আছে তা কমবে বৈ কি।

ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দল আর আওয়ামীলীগের রাজনৈতিক চিন্তার পার্থক্য কতটুকু আকাশ পাতাল ব্যাবধান আরেকটি ঘটনা বললে বুঝা যাবে। বিগত বিএনপির আমলে একটি ইসলামী দলের মন্ত্রীকে চট্টগ্রামের একটি বড় কওমি মাদ্রাসায় দাওয়াত করা হয়েছিল। তিনি সেখানে গিয়ে আক্রান্ত হলেন এক দুরারোগ্য ব্যাধিতে। এই রোগের নাম আসাবিয়াত। তিনি সেই মাদ্রাসায় এতীমদের জন্য সরকারি বরাদ্দ কমিয়ে অর্ধেক করে এলেন! অথচ তার উচিত ছিল একে আরো বাড়ানো। ফলশ্রুতিতে কওমি মাদ্রাসা পর্যায়ে নিউজ চলে গেল এই ইসলামী দল কওমি বিরোধী। এই ঘটনার কয়েকদিন পর আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসে। সেখানকার আওয়ামী এমপি ওই মাদ্রাসায় গিয়ে জানলেন আগের জনৈক ইসলামী মন্ত্রীর বরাদ্দ কমানোর ঘটনা। আওয়ামীলীগের এই এমপি মাদ্রাসার এতীম বাচ্চাদের জন্য সরকারি বরাদ্দ তো বাড়ালেনই এমনকি আগের চেয়ে দিগুন করে দিলেন।

ভাইলোগ, আওয়ামীলীগ থেকে আপনাদের রাজনীতি শেখার মত অনেক কিছু আছে। আগে রাজনীতি শিখুন তারপর মাঠে নামুন। সাতার না শিখে পানিতে নামলে নিজে তো ডুববেন এমনকি কর্মীদেরকেও ডুবাবেন।

কি দু;সময় গিয়েছে শাহবাগের দিনগুলোয়। ইসলামী প্রতিষ্ঠান বন্ধ করার জন্য রীতিমত তালিকা চুড়ান্ত করা হয়েছিল। শাহবাগ সফল হলে আর যাই বলেন ইসলামী তামাদ্দুন ধ্বংস হয়ে যেত অটোমেটিকালি। কিন্তু শাহবাগের বিরুদ্ধে কেউ দাঁড়ানোর সাহস করছিলেননা। সেই সময় একাকী বুকটান করে এগিয়ে এসেছিল কতিপয় মোল্লা মওলভি, যাদের প্লাটফরমের নাম হেফাজতে ইসলাম। হেফাজত যেভাবে একাকী একটা স্রোতকে থামিয়ে দিয়েছে তাতে তাদের আগামী কয়েক টার্ম রাজনীতি না করলেও চলবে।

আজকের জাতিয়তাবাদী এবং ইসলামপন্থী রাজনীতিবিদদের তাই হেফাজতের উপর কৃতজ্ঞ থাকা উচিত। কোন অবস্থায়ই গালাগালি নয়।

©  সাইমুম সাদী

নাভীর নীচের অবাঞ্ছিত লোমের সীমানা

নাভীর নীচের অবাঞ্ছিত লোমের সীমানা হলো : পায়ের পাতার উপর ভর করে বসা অবস্থায় নাভী থেকে চার পাঁচ আঙ্গুল পরিমাণ নীচে যে ভাঁজ বা রেখা সৃষ্টি হয় ...