রবিবার, ১৫ এপ্রিল, ২০১৮

আল ইকরাম ফাউন্ডেশন এর গঠণতন্ত্র

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল ইকরাম ফাউন্ডেশন
                      (একটি সামাজিক সেবামূলক সংস্থা)



নীতিমালা বহি

প্রতিষ্ঠাকালঃ..........................
অফিসঃ দারুল উলূম মাদ্রাসা, রান্ধনীবাড়ী, সিরাজগঞ্জ
------------------------

ধারা নং ০১: বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
             অর্থঃ পরম করুণাময় অতীব দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।

ধারা নং ০২: ইহা একটি সামাজিক উন্নয়নমূলক,  অরাজনৈতিক ও অলাভজনক সংস্থা । যা বাংলাদেশ সংবিধান এর প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা রেখে গঠিত। ইহার কোন ধারা-উপধারা বাংলাদেশ সংবিধানের বিরোধী হলে অবশ্যই সে ধারা-উপধারা বাতিল/পরিবর্তন যোগ্য

ধারা নং ০৩: সংস্থার নাম:  (বাংলায়) আল-ইকরাম ফাউন্ডেশন
                                (আরবীতে) الاكرام فاؤنديشان
                                (ইংরেজী) Al-Ikram Foundation

ধারা নং ০৪: সংস্থার ঠিকানাঃ  দারুল উলুম মাদ্রাসা, রান্ধনী বাড়ী, বেলকুচি, সিরাজগঞ্জ,
                (ক) বর্তমান ঠিকানাঃ দারুল উলুম মাদ্রাসা, রান্ধনী বাড়ী, বেলকুচি, সিরাজগঞ্জ,
                (খ) অফিস স্থাপনঃ কার্যনির্বাহী কমিটির অনুমোদনক্রমে সুবিধা মত স্থানে অফিস স্থাপন করতে পারবে।
                (গ) সংস্থার ঠিকানা পরিবর্তনঃ কোন কারণ বসতঃ সংস্থার ঠিকানা পরিবর্তন হলে ৩০ দিনের মধ্যে সংস্থার কার্যকরী সদস্যদের অবশ্যই লিখিতভাবে জানাতে হবে।

ধারা নং ০৫: সংস্থার কর্ম এলাকাঃ
                (ক) বর্তমানে রান্ধনীবাড়ী, পূর্ব রান্ধনীবাড়ী, ভাতুরিয়া, চক মকিমপুর, চরকোনাবাড়ী, মাইঝাইল, কোনাবাড়ী, মকিমপুর, গ্রামসমূহে এই সংস্থার কার্যক্রম চলবে।
                (খ) সংস্থার কর্ম এলাকা সম্প্রসারণ ধাপে ধাপে সংস্থার কার্যনির্বাহী পরিষদের মাধ্যমে বর্ধিত হতে পারে।

ধারা নং ০৬: সংস্থা  স্থাপনের  তারিখঃ  .................. ২০১৭ ইং

ধারা নং ০৭: লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যঃ
                (ক) লক্ষ্যঃ এলাকার আলেমদের মধ্যে পরস্পর পরিচিতি ও আত্মিক মুহাব্বতের মাধ্যমে উলামা সমাজের ঐক্য স্থাপনা। ইহা অরাজনৈতিক, অলাভজনক, ধর্মীয়সামাজিক সেবামূলক সংস্থা। এই সংস্থা এলাকার দেওবন্দী উলামা ও ত্বলাবাদের সমন্বয়ে গঠিত হবে এবং এলাকার ধর্মীয় ও সামাজিক উন্নয়নে কাজ করে যাবে।
                খ) উদ্দেশ্যঃ (১)  শিশু  কল্যাণঃ এলাকার শিশু কিশোরদের শতভাগ ধর্মীয় শিক্ষা ও অক্ষরজ্ঞান প্রদানের জন্যে পাড়া মহল্লায় সাবাহী মক্তব চালু করা। যেসব এলাকায় আগে থেকেই চালু রয়েছে সেখানে শিক্ষার মানোন্নয়ন ও শিক্ষাদানের ব্যাপ্তি বর্ধিত করণ। পাশাপাশি এলাকার প্রতিটি শিশু যেন শুদ্ধরূপে কুরআন শরীফ তিলাওয়াত করতে পারে তার জন্যে ব্যবস্থা গ্রহণ ও হাফিজে কুরআনের সংখ্যা বৃদ্ধি করার মেহনত করা।
                 (২) যুব কল্যাণঃ  এলাকার যুবকদের মাঝে ধর্মীয় চেতনা জাগরূক করে বিভিন্ন গুনাহ ও খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখা ও মাদকমুক্ত ধার্মিক যুবক সমাজ গড়ে তোলা।
                  (৩) নারী  কলাণঃ  এলাকার গরীব দুস্থঃ বিধবা মহিলাদের যথাসম্ভব সহায়তা প্রদান ও নাজায়েয যৌতুক প্রথা বিলুপ্তি করণ। প্রয়োজনে যৌতুকবিহীন বিবাহের আয়োজন করা।
                  (৪)  শারীরিক ও মানসিক অসমর্থ ব্যক্তিদের কল্যাণঃ
                  (৫) সমাজবিরোধী কার্যকলাপ থেকে জনগণকে বিরত রাখতে উদ্যোগ গ্রহণ করা।
                  (৬) জনগণের মধ্যে নাগরিকতা ও ধর্মীয়বোধ জাগিয়ে তোলার জন্যে নানা কর্মসূচী গ্রহণ। যেমনঃ ওয়াজ মাহফিল, আলোচনা সভা ইত্যাদি।
                  (৭) দুস্থ্য ও সামাজিক অসমর্থ ব্যক্তিদের খোঁজ খবর নেওয়া।  তাদের সহযোগিতা প্রদান করা। এদের কেউ অসুস্থ হলে সেবা প্রদান করা।
                  (৮)  এলাকার আলেমদের কেউ অসচ্ছলতায় কষ্ট পেতে থাকলে তাঁকে তাঁর সম্মান বজায় রেখে ইকরাম করা।
                  (৯) এলাকার মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্রদের সঠিক দিকনির্দেশনা প্রদান করা। তাদের জন্যে যথা সম্ভব সহযোগিতা ও কিতাব ইত্যাদির ব্যবস্থা করা।
                  (১০) ইসলামিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন ও বাস্তবায়ন করা
                  (১১)  সরকারের  উন্নয়নমূলক কাজে যথা সম্ভব পূর্ণ সহযোগিতা প্রদান করা। বয়স্কদের গণ শিক্ষা গ্রহণে উদ্বুদ্ধকরণ। গ্রাম সসরকার কর্তৃক নানা উদ্যোগে অংশগ্রহণ করা।
                  (১২)  দেশের দুর্ভিক্ষ, বন্যা, ঘূর্ণিঝড় ইত্যাদি প্রাকৃতিক দুর্যোগে আক্রান্ত মানুষের পাশে দাঁড়ান, তাদেরকে নানা সাহায্য সসহযোগিতা প্রদান করা।
                  (১৩) প্রতিটি পাড়া মহল্লায় তাবলীগ ও দাওয়াতুল হকের কার্যক্রম জনগণের মাঝে পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়ন করা।

ধারা  নং  ০৮: (ক) ব্যবস্থাপনাঃ কার্যকরী সদস্য, কার্যকরী কমিটি ও পৃষ্ঠপোষক সদস্যদের  সমন্বয়ে এই সংস্থা পরিচালিত হবে। কার্যকরী কমিটির মনোনীত ব্যক্তিগণ সংস্থার নীতিমালা প্রণয়ন করবেন এবং তা কার্যকরী সদস্য, কার্যকরী কমিটির মিটিংয়ে পরিমার্জিত হয়ে চুড়ান্ত হবে। এই সংস্থার প্রশাসনিক কার্যক্রম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে একটি কার্যকরী কমিটি থাকবে। সে কমিটি  সাধারণ সভায় সকলের পরামর্শ ও আমীরে মজলিসের রায়ের ভিত্তিতে নির্বাচিত হবে। উক্ত কমিটির মেয়াদকাল থাকবে ২ বছর। সংস্থার কার্যকরী সদস্য বলতে নির্ধারিত এলাকার দাওরায়ে হাদীস পাশ সকল আলেম ও খিদমতে রতঃ সকল হাফিজে কুরআন অন্তর্ভুক্ত থাকবে। সংস্থার পক্ষ থেকে বৎসরে ৩টি সাধারণ সভার আয়োজন করা হবে। যা কার্যকরী কমিটির নেতৃত্বে বিভিন্ন স্থানে অনুষ্ঠিত হবে। সাধারণ সভায় সভাপতিত্ব করবেন সংস্থার কার্যকরী কমিটির সভাপতি। সভাটি একজন পরিচালকের মাধ্যমে পরিচালিত হবে। উক্ত সভায় বিগত কার্যক্রমের উপর কারগুজারি, সামনের কার্যক্রম ইত্যাদির উপর আলোচনা হয়ে মশওয়ারা ও আমীরে মজলিসের রায়ের ভিত্তিতে ফয়সালা গৃহীত হবে। মশওয়ারা ত্বলব করা ছাড়া  কার্যকরী সদস্যগণ কোন নির্দিষ্ট বিষয়ে পরামর্শ প্রদান করতে চাইলে অবশ্যই সভাপতির অনুমতি নিয়ে বলতে হবে।

           কার্যকরী সদস্য হওয়ার নিয়ম ও শর্তাবলী
। যিনি কর্ম এলাকায় জন্মসূত্রে বাসিন্দা
২। যিনি দাওরায়ে হাদীস পাশ বা কোন হিফজ বিভাগে কর্মরত।
২। যিনি সংস্থার লক্ষ্য উদ্দেশ্য ও আদর্শের প্রতি আস্থাশীল ও অনুগত।
৩। যিনি নির্ধারিত ভর্তি ফরমে ফি প্রদান পূর্বক আবেদন করবেন।
। কার্যকরী কমিটির অনুমোদন সাপেক্ষে।
৫। সৎ ও নিষ্ঠাবান।
৬। সমাজ ও রাষ্ট্র বিরোধী কাজে লিপ্ত নহে।
উক্ত ব্যক্তি কার্যকরী কমিটির অনুমোদন কল্পে সদস্য পদ লাভ করবেন।
   
           (খ) কার্যকরী সদস্যদের দায়িত্ব ও কর্তব্যঃ
        ১। সাধারণ সভায় অবশ্যই অংশগ্রহণ করা ও উপযোগী মশওয়ারা প্রদান করা।
        ২। কোন দায়িত্ব অর্পিত হলে যথাসম্ভব পূর্ণ মেহনতের সসহিত পালন করা।
        ৩। সংস্থার বিরোধী কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকা।
ধারা নং ০৬  (গ) কার্যকরী কমিটির দায়িত্ব ও কতব্যঃ

ধারা নং  ০৯: সদস্যপদ বিলুপ্তি হওয়ার কারণঃ
             ক) কোন সদস্য পদত্যাগ করতে চাইলে তিনি সংশ্লিষ্ট কমিটির চেয়ারম্যান এর নিকট পদত্যাগ পত্র পেশ করবেন। কার্যকরী কমিটির সভায় তা গৃহিত হলে উক্ত সদস্যের সদস্যপদ বাতিল হবে।
            খ) পরপর তিন মিটিংয়ে কোন কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে অনুপস্থিত থাকলে।
           গ) সমাজ,  রাষ্ট্র বিরোধী বা কোন সন্ত্রাসী কার্যকলাপে জড়িত থাকলে।
            ঘ) পাগল বা মৃত্যুবরণ করলে।
            ঙ) সংস্থা গঠনতন্ত্র বিরোধী কার্যকলাপে লিপ্ত হইলে।
            চ) আদালত কর্তৃক সাজা প্রাপ্ত হইলে বা সামাজিক দণ্ডে দণ্ডিত হলে।
            ছ) দেওবন্দী আকিদা থেকে বিচ্যুতি ঘটলে।

ধারা নং ১০: সদস্যপদ পূনঃলাভঃ
              কারো  সদস্য পদ বিলুপ্ত বা বিচ্যুতি ঘটলে উক্ত সদস্য সন্তোষজনক কারণ দর্শিয়ে সংস্থা সভাপতি বরাবরে আবেদনপত্র ও মান্যবর  কোন আলিমের সুপারিশনামা দাখিল করলে কার্যকরী কমিটির পরবর্তী সভায় বিষয়টি সদয় বিবেচিত হলে এবং সভাপতি কর্তৃক অনুমোদিত হলে উক্ত সদস্য পূনঃরায় ভর্তি ফি পরিশোধ পূর্বক পূনঃ সদস্য পদ লাভ করতে পারবেন

ধারা নং ১১: সদস্যদের শ্রেণীবিভাগঃ
           (ক) সাধারণ সদস্য
           (খ) কার্যকরী সদস্য
           (খ) কার্যকরী কমিটি
           (ঘ) উপদেষ্টা কমিটি
          (ঙ) দাতা সদস্য

ধারা নং ১২: সদস্যদের কার্যাবলীর বিবরণঃ
            (ক) সাদারণ সদস্যঃ এলাকার কওমী যেকোন মাদ্রাসা পড়ুয়া যেকোন ছাত্র সাধারণ সদস্য হওয়ার যোগ্যতা রাখে। এরা সাধারণ সভায় অংশগ্রহণ করবে ও সংস্থার উদ্যোগে গ্রহণকৃত কাজে অংশগ্রহণ করে সংস্থাকে বেগবানগতিশীল করবে।

           (খ) কার্যকরী সদস্যঃ এলাকার যেকোন দাওরায়ে হাদীস পাশ আলেম এ সদস্যপদ লাভের যোগ্যতা রাখে। তারা সাধারণ সভায় অংশগ্রহণ করতঃ বিভিন্ন বিষয়ে মশওয়ারা প্রদান করতে পারবে। সংস্থার পক্ষ থেকে যাবতীয় কাজে শরীক থাকবে। প্রয়োজনে সংস্থার জন্যে অর্থের অনুদানও প্রদান করবে বা সংগ্রহ করে সংস্থাকে সমৃদ্ধশালী করবে। সংস্থার মাঠ পর্যায়ের কর্মি হিসেবে এরা বিবেচিত হবে।

           (গ) কার্যকরী কমিটির সদস্যঃ সাধারণ সভায় সদস্যদের মশওয়ারা ও আমীরে মজলিসের রায়ের ভিত্তিতে মনোনীত সংস্থার সভাপতি, সম্পাদক, কোষাধ্যক্ষ ইত্যাদির সমন্বয়ে গঠিত নির্দিষ্ট মেয়াদকালের জন্য নির্বাচিত কার্যকরী পরিষদ। এদের নেতৃত্বে সংস্থার সকল কার্যক্রম পরিচালিত হবে। সংস্থার পক্ষে দায়বদ্ধতা, দায়িত্ব ও কর্তব্য নিয়ে সংস্থার উন্নতিকল্পে ফি সাবিলিল্লাহ কাজ করে যাবেনযাবতী প্রশাসনিক কার্যক্রম তাদের নেতৃত্বেই অনুষ্ঠিত হবে। এদের মধ্যে সভাপতি- আমীর ভূমিকায় থাকবেন। বাকিরা মামুর ভূমিকায় দায়িত্ববান হবেন। এই কমিটির ক্ষমতা সর্বোচ্চ হবে। এই কমিটি সভায় সংস্থা আয়, ব্যায় বাজের্ট কর্মপরিকল্পনা, বার্ষিক রিপোর্ট ইত্যাদি সেক্রেটারী কর্তৃক পেশ ও অনুমোদন করে নিতে হবে। এই কমিটিবিশেষ সভা বৎসরে কমপক্ষে ০২ (দুই) বার অনুষ্ঠিত হবে।

          (ঘ) উপদেষ্টা কমিটির সদস্যঃ  কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান “আল-ইকরাম ফাউন্ডেশনের” এর কোন সদস্য নন অথচ তিনি সংস্থা উন্নয়নের জন্য বাহির থেকে কাজ করে যান। তা হলে তিনি এই সংস্থার পৃষ্ঠপোষক/উপদেষ্টা সদস্য বলে গণ্য হবেন এরকম বিশেষ ব্যক্তিবর্গ, আজীবন সদস্য, দাতা সদস্যদের সমন্বয়ে উপদেষ্টা কমিটি গঠিত হবে। এই কমিটি সংস্থা উন্নয়নের জন্য কর্যকরী কমিটিকে পরামর্শ দাতা হিসাবে কাজ করবেন। তবে তাদের আভ্যন্তরীণ কোন বিষয়ে হস্তক্ষেপ সংস্থার সভাপতির অনুমতি ব্যতিরেকে গ্রহণযোগ্য হবে নাএই কমিটি সংগঠনের বিশেষ কোন অনুষ্ঠান কিংবা সাধারণ সভায় উপস্থিত থাকবে। বছরে কমপক্ষে একবার উপদেষ্টা কমিটির বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হবে। এই বিশেষ সভায় কার্যকরী কমিটির কর্মকর্তাগণও উপস্থিত থাকতে পারবেন। পৃষ্ঠপোষক/উপদেষ্টা সদস্য নির্বাচিততে কার্যকরী কমিটির অনুমোদ থাকতে হবে।

          (ঙ) দাতা সদস্যঃ সংস্থা সার্বিক কল্যাণ ও ব্যাপক উন্নয়নের লক্ষ্যে যারা এককালীন নির্দিষ্ট অংকের টাকা অথবা সমপরিমাণ মূল্যের সম্পদ অথবা পণ্য ফি সাবিলিল্লাহ ডোনেট করবে। কিংবা বিশেষ প্রয়োজনে যারা সংস্থার কার্যক্রম পরিচালনায় মোটা অংকের অনুদান দিবে। তারাই দাতা সদস্য হিসাবে বিবেচিত হবে। এদের নাম, ঠিকানা ও দানের বিবরণী দান রেজিস্ট্রি খাতায় লিপিবদ্ধ থাকবে। কোষাধ্যক্ষ মাধ্যমে এদের যাবতীয় তথ্য রেজিস্টার বহিতে প্রমাণাদিসহ লিপিবদ্ধ থাকা আবশ্যকীয়

ধারা নং  ১৩: কার্যকরী কমিটির পদের সংখ্যা ও বিবরণঃ

          (ক) সভাপতিঃ                 ০১ জন
          (খ) সহ সভাপতি              ০২ জন
          (গ) সেক্রেটারি                 ০১ জন
          (ঘ) সহ সেক্রেটারি
          (ঙ) প্রচার সম্পাদক            ০১ জন
         (চ) সহ প্রচার সম্পসদক
          (ছ) কোষাধক্ষ্য                  ০১ জন
ধারা নং  ১৪: কার্যকরী কমিটির প্রত্যেকের ক্ষমতার বিবরণঃ

         (ক) সভাপতিঃ তিনি নিম্নলিখিত ক্ষমতার অধিকারী হবেন।
             ) তিনি সংস্থা নির্বাহী প্রধান বা সংস্থার চেয়ারম্যান বিবেচিত হবেন।
              ২) সকল সভায় সভাপতিত্ব করবেন।
              ৩) সভার আহবান করার জন্য প্রয়োজনে সেক্রেটারিকে নির্দেশ প্রদান করবেন।
              ৪) নিজেই সভা আহবান করবেন।
              ৫) সংস্থা যাবতীয় কার্যাবলী পরিদর্শন করবেন।
              ৬) সংস্থা যাবতীয় কাগজপত্র, দলিল, দস্তাবেজ নিজ বা দায়িত্বশীলদের তত্ত্বাবধানে
                   রেখে পূর্ণ হেফাজত করবেন

          খ, সহ সভাপতিঃ তিনি যাবতীয় কাজে সভাপতিকে সহযোগিতা করবেন এবং সভাপতির অনুপস্থিতিতে তার যাবতীয় কার্য পরিচালনা করবেন। তবে সভাপতির অনুমতি ছাড়া কোন প্রকার আর্থি লেনদেন করতে পারবেন না।

          গ, সেক্রেটারিঃ তিনি নিম্নলিখিত বিষয়ে অধিকারী হবেন।
              ১) সংস্থা গঠনতন্ত্রের ব্যাখ্যা প্রদানকারী, প্রয়োগকারী  এবং প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশক।
              ২) তিনি সংস্থা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করবে এবং সংস্থার পক্ষে  অন্য কোন ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠান/সংস্থা সাথে চুক্তি নামায় স্বাক্ষর করবেন।
              ৩) বার্ষিক রিপোর্ট প্রণয়ন, উপস্থাপন, আয়-ব্যয়, কর্ম-পরিকল্পনা, সাধারণ সভা, কার্যনির্বাহী সভায় উসস্থাপন করবেন এবং তা অনুমোদন করিয়ে নিবেন।
              ৪) অনুমোদন সাপেক্ষে সকল কর্মকান্ড পরিচালনা ও বাস্তবায়ন করবেন।
              ৫) যাবতীয় বিল ভাউচার অনুমোদন করবেন।
              ৬) তিনি কার্য নির্বাহী কমিটির পক্ষে বিভিন্ন দাতা সংস্থা নিকট প্রকল্প প্রস্তাবনা প্রেরণঅনুমোদন এর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন
              ৭) সংস্থা উন্নয়ন মুলক কর্মকান্ড সম্প্রসারণের জন্য নির্বাহী পরিষদের সভায় উপস্থাপন পূর্বক অনুমোদন করিয়ে নিবেন

          ঘ, সহ সেক্রেটারিঃ  তিনি সেক্রেটারি এর অনুপস্থিতিতে আর্থিক লেনদেন ছাড়া সেক্রেটারির সকল দায়-দায়িত্ব পালন করবেন। তিনি তার কাজের জন্য সভাপতিসেক্রেটারির নিকট দায়ী থাকবেন

          ঙ, প্রচার সম্পাদকঃ তিনি সংস্থার যাবতীয় সভা, ইস্যু, বিধিনিষেধ, কার্যাবলী সকল সদস্যের নিকট পৌঁছিয়ে দিবেন। সংস্থার যেকোন প্রচারমূলক কার্যক্রমেও মূখ্য ভূমিকা পালন করবেন। তিনি তাকাজের জন্যে সভাপতি ও সেক্রেটারির নিকট দায়বদ্ধ থাকবেন

          চ, সহ প্রচার সম্পাদকঃ তিনি সকল কাজে প্রচার সম্পাদকের শহযোগিতা করবেন। প্রচার সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে তার দায়িত্ব পালন করবেন। তিনি তার কাজে প্রচার সম্পাদকের নিকট দায়ী থাকবেন

           ছ, কোষাধ্যক্ষঃ সংস্থার যাবতীয় আদায়কৃত টাকা গচ্ছিত রাখবেন। সভাপতি ও সেক্রেটারির মাধ্যমে সভায় পাশকৃত সেক্টরে ব্যয় করবেন। প্রতিষ্ঠানের আর্থিক হিসাব নিকাশ সংরক্ষন করবেনযাবতীয় হিসাব-নিকাশের জন্য দায়ী থাকবেন

ধারা নং  ১৫: উপদেষ্টা কমিটির পদ ও বিবরণীঃ

          (ক) প্রধান উপদেষ্টা             ০১ জন
          (খ) সহকারী উপদেষ্টা           ০৪ জন
ধারা নং  ১৩: উপদেষ্টা কমিটির দায়িত্ব বিবরণঃ
           ক, মেয়াদকালঃ কমপক্ষে ৪ (চার) বছর।
           খ, সংস্থার জন্যে উপযুক্ত ও ভাল পরামর্শ প্রদান করবেন।
           গ, প্রয়োজনে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা।
           ঘ, বিভিন্ন দাতা গোষ্ঠির সাথে যোগাযোগ করতঃ সংস্থার অর্থের যোগান দেওয়া
           ঙ, সংস্থার যেকোন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকা
           চ, বৎসরে কমপক্ষে একবার এই পরিষদ সভা করবেন।
ধারা নং  ১৬: সংস্থার বিভিন্ন প্রকারের সভাঃ
         ক, সাধারণ সভাঃ
         খ, কার্যকরী মিটিং সভা
         গ, জরুরি সভা
         ঘ, তলবী সভা
         ঙ, মুলতবী সভা
ধারা নং   ১৭: সভার নিয়মাবলী ও বিবরণীঃ
         ক, সাধারণ সভাঃ এই সভা কমপক্ষে ৩০ দিন পূর্বে আহবান করতে হবে। সদস্যদের এক তৃতীয়াংশের উপস্থিতিতে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
        খ, কার্যকরী মিটিং সভাঃ এই সভা হওয়ার কমপক্ষে ০৭ দিন পূর্বে নোটিশ প্রদান করে সভা আহবান করতে হবে। কার্যকরী কমিটির দুই তৃতীয়াংশ সদস্যদের উপস্থিতিতে সভার কোরাম হবে।
         গ, জরুরি সভাঃ ২৪ ঘন্টার নোটিশে এই সভা আহবান করা যাবে। তবে নোটিশে স্থান, সময়, বিষয় ইত্যাদি অবশ্যই উল্লেখ থাকতে হবে। ব্যক্তিগত ভাবে সকল সদস্যদের নিকট সংবাদ পৌঁছাতে হবে। এই প্রকার সভা জরুরী কোন প্রয়োজনেই সভাপতির অনুমতিক্রমে অনুষ্ঠিত হতে পারে। সভাপতি নিজেও এই সভা আহবান করতে পারেন।
         ঘ, তলবী সভাঃ সংস্থা কার্যক্রম দীর্ঘদিন যাবত স্থগিত থাকলে অথবা দীর্ঘ দিন যাবত কোন সভা আহবান করা না হলে কিংবা সংস্থা সভাপতি/সেক্রেটারি বা কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য সংস্থা পক্ষে ক্ষতিকারক কোন কাজে লিপ্ত থাকলে,  সংস্থা সাধারণ ও কার্যকরী সদস্যদের দুই তৃতীয়াংশ সদস্য লিখিতভাবে সভা আহবানের জন্য সংস্থার প্রধান উপদেষ্টা/সভাপতিকে অবহিত করবেন। উক্ত আবেদনের বিষেয় নিবন্ধন কর্তৃপক্ষকে লিখিত ভাবে জানাবেন। যদি ২১ (একুশ) দিনের মধ্যে সংস্থার সভাপতি/সেক্রেটারি সভা আহবান না করলে কিংবা ব্যর্থ হলে, সদস্যদের যে কোন একজন আহবায়ক হয়ে তলবী সভা আহবান করতে পারবেন। সভা আহবানের বিষয়ের কারণ লিখিতভাবে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে হবে। সংস্থা গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দুই তৃতীয়াংশ সদস্যদের উপস্থিতিতে এই সভায় গৃহীত যাবতীয় সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হবে। পরবর্তী ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে গৃহীত সিদ্ধান্ত নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের নিকট হতে অনুমোদন করে নিতে হবে।
        ঙ, মূলতবী সভাঃ কোন সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহণে কোন জটিলতা দেখা দিলে কিংবা সভা চলাকালীন সময়ে বিশেষ কোন কারণে সভাপতি সাহেব সভা পরিচালনা করতে না পারলে তিনি সভার কাজ মূলতবী করতে পারবেন। তবে পরবর্তী ০৭ (সাত) দিনের মধ্যে একই স্থানে মূলতবী সভা অনুষ্ঠিত  হতে হবে।
         সভা সম্বন্ধীয় কিছু উপধারাঃ
                    (ক) সভার কোরামঃ কার্যকরী কমিটি  এবং সাধারণ সদস্যদের দুই তৃতীয়াংশের উপস্থিতিতে সভার কোরাম হবে। বিশেষ ক্ষেত্রে যেমনঃ সংবিধান অনুমোদন, কিংবা সংবিধান সংশোধন বা কমিটি  নির্বাচন ইত্যাদি সংক্রান্ত সভায় দুই তৃতীয়াংশ কার্যকরী সদস্য ও সাধারণ সদস্যদের উপস্থিতিতে কোরাম হবে।
                     (খ) যদি কোরামের অভাবে সভা অনুষ্ঠিত না হয়, তাহা হলে পূনরায় সভা আহবান করতে হবে। পরপর ২ (দুই) টি সভা কোরামের অভাবে অনুষ্ঠিত না হলে পরবর্তী সভায় কোরামের প্রয়োজন হবে না।
ধারা নং  ১৮: প্রশাসনিক নিয়মাবলীঃ প্রশাসনিক কাজ আঞ্জাম দেওয়ার জন্যে যে কার্যকরী কমিটি নিযুক্ত থাকবে তা হবে সম্পূর্ণ অবৈতনিক।
                 প্রশাসনিক নিয়মে উপধারাঃ  শাস্তিমূলক ব্যবস্থাঃ নিম্নলিখিত বিষয়ে সংস্থার সদস্যদের কেউ অভিযুক্ত হলে সাধারণ সভায় তার বিষয়ে যেকোন শাস্তিমূলক পদক্ষেপ প্রযোজ্য হবে।
                    ক) গঠনতন্ত্রের নিয়মাবলী লংঘন করলে কিংবা সাংগঠনিক ও প্রশাসনিক নিয়ম ভঙ্গ করলে।
                    খ) কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অমান্য করলে।
                    গ) সংস্থা স্বার্থের পরিপন্থী কোন কাজ কর্মে লিপ্ত থাকলে।
                    ঘ) দায়িত্ব ও কর্তব্য কর্মে অবহেলা নিলিপ্ততা, উদাসীনতা প্রদর্শন করলে।
                    ঙ) অর্থ-সম্পদ আত্নসাৎ করলে।
                    চ) সংস্থা বিরুদ্ধে নাশকতামূলক কাজ করলে।
                    ছ) উদ্দেশ্যমূলক ভাবে প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত থাকলে।
                    জ) চাঁদাবাজ, মাস্তান, ও দুস্কৃতিকারীদের সাথে মেলামেশা বা সম্পর্ক রাখলে বা তাদের দ্বারা হুমকি প্রদর্শন করে ব্যক্তিগত স্বার্থ উদ্ধারের চেষ্টা করলে।

ধারা নং  ১৯: অর্থনৈতিক অবকাঠামোঃ
           (ক) সংস্থার আয় বা তহবিল গঠনঃ সংস্থার তহবিল নিম্ন লিখিত উপায়ে সংরক্ষিত হবে।
               ১) সাধারণ, কার্যকরী  সদস্যদের স্বতঃস্ফূর্ত অনুদান।
               ২) বিশেষ শুভাকাঙ্ক্ষী  উপদেষ্টা ব্যক্তিবর্গ হতে চাঁদা,  এককালীন দান/অনুদান
                 ৩) সরকারী, দেশী/বিদেশী সাহায্য সংস্থা হতে প্রাপ্ত দান/অনুদান।
           (খ) অর্থ ব্যয়ঃ সংস্থার সভাপতি, সেক্রেটারির উপস্থিতিতে তাদের যৌথ লিখিত অনুমোদনে কোষাধ্যক্ষ বা মনোনীত ব্যক্তি সংস্থার অর্থ ব্যয় করতে পারবেন।
           (গ) ব্যায়ের খাতসমূহঃ
             ১) শিক্ষা প্রশিক্ষণ কাজে, ছাত্র/ছাত্রীদের বৃত্তি দান, যন্ত্রপাতি ও উপকরণ ক্রয় নিমিত্তে।
             ২) দুঃস্থ্য ব্যক্তিদেরকে আর্থিক সহায়তা, দান/অনুদান প্রদান।
             ৩) বিভিন্ন সামাজিক বিষয়ের জন্য গৃহীত প্রকল্পে ব্যয়।
             ৪) সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ওয়াজ মাহফিল, সভা সেমিনার, প্রচার ইত্যাদি বাবদ ব্যয়।
             ৫) সাধারণ সভায় অনুমোদিত খাতসমূহ।
           (ঘ) অডিট বা নিরিক্ষাঃ সংস্থার আয়-ব্যয় যথাযথ সংরক্ষনের জন্য ক্যাশ বহি, খতিয়ান, আয়-ব্যয়ের হিসাব, সদস্য বহি, কার্য বিবরণী বহি, পরিদর্শন বহি ও অন্যান্য বহি থাকতে পারে। সংস্থার যাবতীয় বর্ধিত অর্থ ০৭ দিনের নির্দিষ্ট স্থানে নির্ধারিত নিয়মে  জমা রাখতে হবে। প্রতিবছর সংস্থার দায়িত্ব প্রাপ্ত ব্যক্তি সংশ্লিষ্ট দফতর কর্তৃক অডিট করিয়ে নিতে হবে।
           (ঙ) সংস্থা হিসেব কালঃ শাওয়াল মাস হতে রামাযান পর্যন্ত আর্থিক বছর গণনা করা হবে।
ধারা নং  ২০: সংবিধান সংশোধনের পদ্ধতিঃ যদি সংস্থার কোন কার্যক্রম ধারা উপধারা সংশোধন, পরিবর্তন, পরিবর্ধন কিংবা সংযোজন করতে হয় তা হলে সাধারণ সভায় দুই তৃতীয়াংশ সদস্যর উপস্থিতিতে গঠনতন্ত্রের যে কোন বিষয়ে সংযোজন, পরিবর্তন, পরিববর্ধন কিংবা সংশোধন  কার্যকরী সদস্যদের মশওয়ারা ও আমীরে মজলিসের রায়ের ভিত্তিতে- করা যাবে। নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত হলে গঠনতন্ত্র সংশোধনী কার্যকর হবে।

ধারা নং  ২১: বিবিধ নিয়মাবলীঃ
             (ক) সংস্থার স্লোগানঃ.............................

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নাভীর নীচের অবাঞ্ছিত লোমের সীমানা

নাভীর নীচের অবাঞ্ছিত লোমের সীমানা হলো : পায়ের পাতার উপর ভর করে বসা অবস্থায় নাভী থেকে চার পাঁচ আঙ্গুল পরিমাণ নীচে যে ভাঁজ বা রেখা সৃষ্টি হয় ...