সোমবার, ২৩ জুলাই, ২০১৮

নবদম্পতির জন্যে প্রয়োজনীয় কিছু কথা

বিয়ে রাসুল সা. এর একটি সুন্নত। রাসুল সা. বলেছেন, যে আমার সুন্নতকে অবজ্ঞা করলো সে আমাকে অবজ্ঞা করলো। যারা বিয়ে করলো আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার জন্য আল্লাহ তায়ালা তাদের জীবন আলোকিত করে দিবেন।

নতুন বিবাহিত মুসলিম দম্পতিরা তাদের ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে ইসলাম যা বলে তা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ায় অনেক সময়। কারণ তারা এ বিষয়ে কথা বলতে লজ্জা পায়।

অনেক সময় তারা বিভ্রান্তও হয়। তাই আমরা বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে চাই।

১. বিয়ে প্রথম রাত

প্রথম রাতেই যে শারীরিক সম্পর্ক করতে হবে ইসলামে এর কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। আগে একে অপরকে বুঝা উচিত। যদি পরিস্থিতি এমন হয় যে শারীরিক সম্পর্ক উপভোগের মাধ্যমে হবে, তাহলে তো ঠিক আছে।

কিন্তু জোড়পূর্বক কোনোভাবেই উচিত নয়। এতে শুরুতেই সম্পর্কের মধ্যে বোঝাপড়ার অভাব শুরু হয়। তাই এ ব্যপারে সতর্ক থাকা উচিত।

২. শারীরিক সম্পর্ক

নববধূর জন্য আল্লাহ শারীরিক সম্পর্ক হালাল করেছেন কিন্তু এটি শুধুই শারীরিক সম্পর্ক নয় আল্লাহর বিধান ও ইবাদতও। সেটি মনে রাখতে হবে। বিয়েটা শুধু যেনো যৌন চাহিদার জন্য না হয়। আল্লাহর বিধান মানার জন্যও যেনো হয় সেদিকে সজাগ দৃষ্টি দিতে হবে।

ইসলাম আমাদের যৌন আকাঙ্ক্ষা পরণের জন্য বিধান দিয়েছেন। রাসুল সা. বাসর রাত বা শারীরিক সম্পর্কের জন্য দোয়াও শিখিয়ে দিয়েছেন।

ইসলাম বলে মানুষ যেনো পশুদের মত যৌন চাহিদা পূরণ না করে। তাই অনেকগুলো নির্দেশনা আছে এ ক্ষেত্রে। সঙ্গিনীর চাহিদা, ভালো লাগা খারাপ লাগার প্রতি গুরুত্ব দেয়া জরুরি। তার কষ্ট হয় এমন কিছু করা উচিত নয়।

আল্লাহ তায়ালা পায়ু পথে সম্পর্ক করাও হারাম করেছেন। তাই ইসলামের বিধান মানাটা অপরিহার্য।

৩. ভার্জিনিটি

অনেকের ধারণা থাকে শারীরিক প্রথম সম্পর্কের ক্ষেত্রে রক্তপাত না হলে তার ভার্জিনিটি আগেই ছিন্ন হয়ে গেছে। ইসলাম এমন ধারণাকে সমর্থন করে না। কেনা অনেক সময় লাফালাফি বা এ জাতীয় খেলাধুলার কারণেও ছিন্ন হতে পারে। সুতরাং এ বিষয় নিয়ে বাড়বাড়ির কোনো সুযোগ নেই ইসলামে।

৪. সঙ্গিনী

আল্লাহ তায়ালা মানুষের মর্যাদার ক্ষেত্রে নারীদের মর্যাদা দিয়েছেন অনেক বেশি। তাই স্বামীরাও  তাদের মর্যাদা দেবে। তাদের পছন্দ অপছন্দের দিকে লক্ষ্য রাখবে। শারীরিক সুখ দেয়ার পুরোপুরি চেষ্টা করবে।

৫. সঙ্গিনীর বিষয়ে আলোচনা

শারীরিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে এ বিষয়গুলো নিয়ে কারো কাছে বলা ইসলাম নিষেধ করেছেন। এগুলোর বিষয়ে আলোচনা হারাম।

সঙ্গিনীর শারীরিক কোনো বিষয়ে অন্যের কাছে বলা ইসলাম সমর্থন করে না। হ্যাঁ শারীরিক সম্পর্কে যদি কোনো সমস্যা থাকে তাহলে অবহেলা না করে ডাক্তার দেখানো উচিত।

সঙ্গিনীর হক আদায়ে যদি কমতি হয় আর আপনি লজ্জায় ডাক্তার না দেখান তাহলে মারাত্মক গোনাহগার হবেন।

তাই এ বিষয়গুলো নিয়ে চিন্তা করা ও গুরুত্ব দেয়া খুবই প্রয়োজন। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে বুঝার তাওফিক দান করুন।

সূত্র: দ্যা ইসলামিক ইনফরমেশন 

এবং আওয়ার ইসলাম২৪

রবিবার, ৮ জুলাই, ২০১৮

রাগকে নিয়ন্ত্রণ করা

বেশ কিছুদিন হলো একটা বিষয় অনেক ভাবাচ্ছে আমায়। কথায় আছে, সুখের দিন কেটে যায় চোখের পলকে। অতি সত্য একটি প্রবাদ। কবর জগতের হাজার কোটি বছর মুমিন বান্দার এক ঘুমের মাঝে অতিবাহিত হয়ে যাবে। সুখের মোহ যাকে আচ্ছন্ন করে রাখে সে অনেক সময় বুঝতেই পারে না মাস কয় দিনে হয়!

কিন্তু বিপদ ঘটে যখন উল্টোরথ ছুটে। অসময়ের এক পলক তখন হাজার ক্ষণের  সুখময় স্মৃতিসৌধকে ভেঙ্গে তছনছ করে দেয়। আবার বড় আশ্চর্য লাগে যে,  তখন এই সুখের স্মৃতিপ্রাসাদ ভাঙ্গাকে যুক্তিগত বলে মনে হয়। কেউ আবার না বুঝেই কেবল ক্রোধান্ধ হয়ে সবকিছুই উপড়ে ফেলে। অনেকেই এমন আছে, যারা জীবন সঙ্গীর সাথে হাজার আনন্দক্ষণ আর সুখময় সময়কে খুব সহজেই ভুলে যায়। বিচ্ছিন্ন কিছু ভুল আর অসংগতি দেখে পদদলিত করে ফেলে ইতিবাচক দিককে। হুঁশে-বেহুঁশে এমন কাণ্ড করে বসে যার জন্যে পরে আক্ষেপের অন্ত থাকে না। তালাকের ফাতাওয়ার প্রেক্ষাপট শুনে শুনে কিছুটা আন্দায তো হয়েই গেছে।

অপরিপক্ব রাগ মানুষকে বরাবরই অপদস্থ আর অসম্মানের অতলগহবরে নিমজ্জিত করে দেয়। এজন্য বিজ্ঞজনেরা অপরিপক্ব রাগ থেকে মানুষকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়ে আসছেন। অপরিপক্ব রাগ কোনটা? এর উত্তর হলো, যে রাগ মানুষকে কন্ট্রোল করে। তার অনুযায়ী মানুষকে হতে বাধ্য করে তাই অপরিপক্ব রাগ। এই রাগের বেলায় মানুষ হিতাহিত জ্ঞানশুন্য হয়ে যায়। এর একটা উদাহরণ, ধরুন- আমার সহযোগী আমাকে ৯৯টা কাজে সঠিকভাবে সহযোগিতা করেছে। কিন্তু একটা কাজের বেলায় সে সঠিক সহযোগিতা দিতে পারেনি। এখন আমি যদি তাকে রাগের বশীভূত হয়ে সামান্যতম বকাঝকা করি তবে আমি অপরিপক্ব রাগাক্রান্ত এবং সহযোগীর দীর্ঘ সময়ের সহযোগিতার প্রতি আমি অকৃতজ্ঞ। এই রাগ অবশ্যই দমনীয়। এক্ষেত্রে ভাল সময়গুলোর প্রতি বেশি বেশি নযর দেওয়া ও রাগ দমনের উপায়গুলো অবলম্বন করতে থাকা।

পক্ষান্তরে পরিপক্ব রাগ হলো ঠিক এর উল্টো। যা মানুষের কন্ট্রোলে পরিচালিত হয়। ব্যক্তি রাগের কন্ট্রোলে থাকে না বরং রাগই ব্যক্তির নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং তা যেকোন অপ্রীতিকর ঘটনায় আসে না বরং সময়ের তাগিদেই তার বহির্প্রকাশ ঘটে।

উপরোক্ত আলোচনাটি আমি আমার এক সুপ্রিয় বন্ধুর বিচ্ছেদে ব্যথাতুর হয়ে করলাম। খিদমতের দীর্ঘ তিন বছরের সুখস্মৃতি নিমিষেই ভ্যানিশ হয়ে গেল। একরাশ চাপা কষ্ট আজ নিত্যসঙ্গী।
আল্লাহ তাঁর মর্যাদা আরো বৃদ্ধি করে দিন।
আমাদেরকে রাগের নিয়ন্ত্রণকারী বানিয়ে দিন।

নাভীর নীচের অবাঞ্ছিত লোমের সীমানা

নাভীর নীচের অবাঞ্ছিত লোমের সীমানা হলো : পায়ের পাতার উপর ভর করে বসা অবস্থায় নাভী থেকে চার পাঁচ আঙ্গুল পরিমাণ নীচে যে ভাঁজ বা রেখা সৃষ্টি হয় ...