রবিবার, ৮ জুলাই, ২০১৮

রাগকে নিয়ন্ত্রণ করা

বেশ কিছুদিন হলো একটা বিষয় অনেক ভাবাচ্ছে আমায়। কথায় আছে, সুখের দিন কেটে যায় চোখের পলকে। অতি সত্য একটি প্রবাদ। কবর জগতের হাজার কোটি বছর মুমিন বান্দার এক ঘুমের মাঝে অতিবাহিত হয়ে যাবে। সুখের মোহ যাকে আচ্ছন্ন করে রাখে সে অনেক সময় বুঝতেই পারে না মাস কয় দিনে হয়!

কিন্তু বিপদ ঘটে যখন উল্টোরথ ছুটে। অসময়ের এক পলক তখন হাজার ক্ষণের  সুখময় স্মৃতিসৌধকে ভেঙ্গে তছনছ করে দেয়। আবার বড় আশ্চর্য লাগে যে,  তখন এই সুখের স্মৃতিপ্রাসাদ ভাঙ্গাকে যুক্তিগত বলে মনে হয়। কেউ আবার না বুঝেই কেবল ক্রোধান্ধ হয়ে সবকিছুই উপড়ে ফেলে। অনেকেই এমন আছে, যারা জীবন সঙ্গীর সাথে হাজার আনন্দক্ষণ আর সুখময় সময়কে খুব সহজেই ভুলে যায়। বিচ্ছিন্ন কিছু ভুল আর অসংগতি দেখে পদদলিত করে ফেলে ইতিবাচক দিককে। হুঁশে-বেহুঁশে এমন কাণ্ড করে বসে যার জন্যে পরে আক্ষেপের অন্ত থাকে না। তালাকের ফাতাওয়ার প্রেক্ষাপট শুনে শুনে কিছুটা আন্দায তো হয়েই গেছে।

অপরিপক্ব রাগ মানুষকে বরাবরই অপদস্থ আর অসম্মানের অতলগহবরে নিমজ্জিত করে দেয়। এজন্য বিজ্ঞজনেরা অপরিপক্ব রাগ থেকে মানুষকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়ে আসছেন। অপরিপক্ব রাগ কোনটা? এর উত্তর হলো, যে রাগ মানুষকে কন্ট্রোল করে। তার অনুযায়ী মানুষকে হতে বাধ্য করে তাই অপরিপক্ব রাগ। এই রাগের বেলায় মানুষ হিতাহিত জ্ঞানশুন্য হয়ে যায়। এর একটা উদাহরণ, ধরুন- আমার সহযোগী আমাকে ৯৯টা কাজে সঠিকভাবে সহযোগিতা করেছে। কিন্তু একটা কাজের বেলায় সে সঠিক সহযোগিতা দিতে পারেনি। এখন আমি যদি তাকে রাগের বশীভূত হয়ে সামান্যতম বকাঝকা করি তবে আমি অপরিপক্ব রাগাক্রান্ত এবং সহযোগীর দীর্ঘ সময়ের সহযোগিতার প্রতি আমি অকৃতজ্ঞ। এই রাগ অবশ্যই দমনীয়। এক্ষেত্রে ভাল সময়গুলোর প্রতি বেশি বেশি নযর দেওয়া ও রাগ দমনের উপায়গুলো অবলম্বন করতে থাকা।

পক্ষান্তরে পরিপক্ব রাগ হলো ঠিক এর উল্টো। যা মানুষের কন্ট্রোলে পরিচালিত হয়। ব্যক্তি রাগের কন্ট্রোলে থাকে না বরং রাগই ব্যক্তির নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং তা যেকোন অপ্রীতিকর ঘটনায় আসে না বরং সময়ের তাগিদেই তার বহির্প্রকাশ ঘটে।

উপরোক্ত আলোচনাটি আমি আমার এক সুপ্রিয় বন্ধুর বিচ্ছেদে ব্যথাতুর হয়ে করলাম। খিদমতের দীর্ঘ তিন বছরের সুখস্মৃতি নিমিষেই ভ্যানিশ হয়ে গেল। একরাশ চাপা কষ্ট আজ নিত্যসঙ্গী।
আল্লাহ তাঁর মর্যাদা আরো বৃদ্ধি করে দিন।
আমাদেরকে রাগের নিয়ন্ত্রণকারী বানিয়ে দিন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নাভীর নীচের অবাঞ্ছিত লোমের সীমানা

নাভীর নীচের অবাঞ্ছিত লোমের সীমানা হলো : পায়ের পাতার উপর ভর করে বসা অবস্থায় নাভী থেকে চার পাঁচ আঙ্গুল পরিমাণ নীচে যে ভাঁজ বা রেখা সৃষ্টি হয় ...