মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০১৯

পরকালে বিশ্বাস রাখতে হবে

যে পরকালকে অস্বীকার করে সে মুসলমানের গণ্ডি থেকে বের হয়ে যায়। কারণ পরকালে বিশ্বাস করা ইসলামের মৌলিক বিষয়। সুতরাং যে মুসলমান হিসেবে বাকী রইল না তার বিষয়ে করণীয় হল তাকে ইসলামের বিষয়ে সুস্পষ্ট ধারণা দেওয়া। তার ডাউটগুলো ক্লিয়ার করা। এতে যদি সে তার অসামঞ্জস্যপূর্ণ বক্তব্য থেকে ফিরে আসে তবে ভাল। নতুবা তাকেও অন্যদশটি অবিশ্বাসীদের কাতারে ফেলে রাখাই শ্রেয়। এটা নিয়ে তার পক্ষে সাফাই গাওয়া যেমন কাম্য নয় ঠিক  অশ্লীল বাক্য প্রয়োগও উচিত হবে না।

সম্প্রতি একজন নারী মডেল রেডিও প্রোগামে সম্ভবত কারো প্রশ্নের উত্তরে বলেন যে, "আমি পরকালে বিশ্বাস করি না। যা চোখে দেখতে পাই না তা আমি বিশ্বাস করি না।" এরকম কথা আজকের ধারাবাহিকতায় নতুন কিছু নয়। মুসলমান নামধারী এমন মস্তিষ্কের দাসের অস্তিত্ব অপ্রতুল নয়। তবে এসব ক্ষেত্রে বিশেষ লক্ষনীয় হল, পাব্লিকলি কেউ এমন মন্তব্য করলে আমরা সাধারণত দুটি দল দেখতে পাই। ১ম দল যারা মস্তিষ্কের দাস, তারা এমন বক্তব্যকে বক্তার ব্যক্তি স্বাধীনতা ও ব্যক্তিগত মত বলে চালিয়ে দেওয়ার ওকালতিতে নেমে পড়ে। তারা বলে এটা যার যার ব্যক্তিগত মত। এখানে হট্টগোলের কিছু নেই।  আর ২য় দল যারা সাধারণত ধর্মীয় বিষয়ে বিশ্বাসী, তারা উক্ত বক্তার প্রতিবাদ করতে গিয়ে চৌদ্দ গুষ্টির কৃষ্টি উদ্ধার করে ফেলেন। তাও আবার যেনতেন ভাষায় নয়। খাঁটি অশ্লীল ভাষায়!
এখন আমার কথা হল, এই দল দুটির কোনটাই তাদের নীতির ওপর বহাল নেই। মস্তিষ্কের গোলামরা বলে, কারো ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত থাকতে পারে এটা নিয়ে হৈচৈ করার কিছু নেই। তাহলে অপরপক্ষ যখন বক্তৃতার বিপক্ষে অশ্লীল ভাষায় তাদের যার যার নিজস্ব মন্তব্য প্রকাশ করে সেটা নিয়ে তোমাদের মাথা ব্যাথা হয় কেন? সেক্ষেত্রে তোমরা নিরবতা পালন করো না কেন?

যদি এটা কোন সারগর্ভ কথা নয়। এখানে মূল কথাটি হল, যদি কোন অবিশ্বাসী অমুসলিমের মুখ থেকে পরকাল অবিশ্বাসের কথা বের হয় তাহলে আমাদের কোন মাথা ব্যথা নেই। কিন্তু মুসলমান হয়ে পরকাল অবিশ্বাসের কথা বলবে আর এটা তার ব্যক্তিগত মত হিসেবে আমাদের মেনে নিয়ে চুপ বসে থাকতে হবে তা কখনোই না। কারণ ইসলাম গোমূত্র খাওয়া বা যত্রতত্র মাথা টেকার মত তুচ্ছ কোন ধর্ম নয়। ধর্মীয় বিষয়ে ইসলামের দেওয়া অভিমতই হতে হবে একজন মুসলমানের মতামত। আর পরকাল বিষয়ে ইসলাম অভিমত দিয়েছে যে, পরকালের অস্তিত্ব আছে। পরকাল চির শাশ্বত। সুতরাং এ বিষয়ে ভিন্নকোন ব্যক্তিগত মতামত মুসলমানের থাকতে পারে না। কেউ যদি ভিন্ন মতামত ধারণ করে তবে সে ইসলামের বাইরে।

দ্বিতীয় কথা হল, আমরা যারা বিশ্বাসী আছি তাদেরও মাথায় রাখতে হবে যে, অনৈসলামিক কর্মকাণ্ড সামনে আসলে আমার কর্তব্য হল, সেটাকে ইসলামী পন্থায় সংশোধন করা। সংশোধন করতে না পারলে যদি প্রতিবাদ করা যায় তাহলেও তাও ইসলামী পন্থায় হওয়া। অশ্লীল বাক্য দ্বারা অনৈসলামিক কাজের প্রতিবাদ করাটাও অনৈসলামিক কাজ। যা থেকে আমাদের বিরত থাকা জরুরী।

আল্লাহ আমাদের বুঝার তাওফিক দিন।

রবিবার, ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯

পরকিয়া!

কর নারী পরকিয়া বা স্বকিয়া!!!
সাধ্য কার? রুধিবার! তোমার হিয়া.....

সুবর্না মোস্তফা আর হুমায়ুন ফরিদীর ডিভোর্স পরবর্তী ফরিদীর তিলে তিলে মৃত্যুর দিকে ঢলে পড়ার কথা মনে আছে?আমাদের সমাজ আর গণমাধ্যম হামলে পড়েছিল ফরিদীর উপর, ডিভোর্স দিয়েছিল সুবর্না বাট কেন ডিভোর্স এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার জন্য বারবার বিব্রত করা হয়েছিল ফরিদীকে, একি প্রশ্ন দ্বিতীয় বার খোঁজা হয়েছিল বদরুল আলম সৌদের কাছে। একটা মেয়ে এক ছেলেকে ডিভোর্স দিয়ে আরেক ছেলেকে বিয়ে করলেও, অপরাধী হিসেবে আদালতের কাঠগড়ায় বারংবার পুরুষ!!কেন??
"এবার একটু ফ্ল্যাশব্যাকে যান তো। গতরাতে আকাশ ভাই আর তাঁর স্ত্রীর ঝগড়া হলো। স্ত্রীর ক্রমাগত করে যাওয়া অনৈতিক অবৈধ কাজগুলোর স্বীকারোক্তির জন্য তাঁর গায়ে ধরলাম হাত ও তুললেন তিনি। ঝগড়াঝাড়ি শেষে সকলকে বিস্তারিত জানিয়ে দিলো ফেসবুকে। তারপর ডিভোর্স দিয়ে দিলো তথাকথিত উচ্চশিক্ষিত USMLE ট্রাই করে যাওয়া ডাক্তার মিতুকে।
কী করতেন আপনারা? কতোটা বিরুপ পরিস্থিতির মুখোমুখি হতো ডাক্তার আকাশ! ভাবা যায়!!
নারী নির্যাতন, মানহানির মামলা, অনলাইনের মামলা থেকে শুরু করে আরো কতো কী মামলা যে সাজানো হতো তাঁর বিরুদ্ধে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তো মুখরোচক সব কাহিনী। সকলে ধিক্কার জানাতো 7 বছর প্রেম করে প্রচন্ড ভালোবেসে বিয়ে করা ছেলেটাকে। গালির তুবড়ি ফুটতো যত্রতত্র। সেই সাথে কাবিনের ৩৫ লক্ষ টাকার দায় তো আছেই। কেউ বুঝতেই চাইতোনা, প্রতারিত হওয়ার কী অসহ্য কষ্ট বুকে চেপে হাসি হাসি মুখে বেঁচে ছিলো ছেলেটা।
আর যদি বাই চান্স সুইসাইড করে বসতো মেয়েটা!!! তাহলে তো কথাই নেই। রীতিমতো "ফাঁসি চাই" স্লোগান উঠতো তাঁর বিরুদ্ধে, যার অধিকাংশই তুলতো আজকের দিনে তাঁর জন্য আফসোসের বাণী ছুটানো মানুষগুলো। কী ভয়ানক contrariety ই না এই সমাজে চর্চা হয়।
Can you all still feel that deep severe pain, যার জন্য বহু শিক্ষার্থীর মোটিভেশনগুরু নিজের বাঁচার জন্য কোন মোটিভেশন খুঁজে না পেয়ে শিরায় শিরায় পয়জন ঢেলে দিতে পারে! সাতটা বছর ভালোবেসে বিয়ের আগ মুহুর্তে যার অনৈতিকতার প্রমাণ পেয়েও মাফ তরে দিয়ে বসেছিলো বিয়ের পিঁড়িতে, একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে এই আশায়। কেনো জানেন? তাও এই সমাজব্যাবস্থা, লোকচক্ষু আর দুপেয়ে জীবদের কথার তুবড়ি থেকে বাঁচার জন্য। বিয়ের পর আড়াইটা বছর মুখ বুঁজে নিজের সাথে নিজে সংগ্রাম করে গেছে, ফিরিয়ে আনতে চেয়েছে স্ত্রীকে সেই কুপথ থেকে।চেয়েছিলো শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান হোক সব।
কেনো??
কারণ চারপাশে আমি, আপনি, আমরা বসে ছিলাম ভুল ধরে খুঁচিয়ে রক্তাক্ত করার জন্য। ফেসবুকে ক্রমাগত রঙিন ররঙিন সব ছবি দিয়ে ববোঝাতো কত্ত সুখী তারা। অথচ, নিজের বিবাহিত স্ত্রী ক্রমাগত অন্য পুরুষদের সাথে ঘুরছে, খাচ্ছে, শুচ্ছে ; একটা ছেলে কিভাবে সহ্য করবে এসব। কিন্তু এই সমাজ তো আর এসবের বিচারের কোন আইন তৈরি করেনি। বরং ঘটনা টা আকাশের সুইসাইড দিয়ে শেষ না হলে, বড়ো হয়ে যেতো। এ সমাজের আইন ঘাড়ে কেঁচকি মেরে ধরতো নানান মামলা, হামলা,অপমান, অপদস্থের খড়গ নিয়ে। বেঁচে থাকার কোন ওয়ে ছিলোনা তো তার।
কে বলে, "তিনি সঠিক কাজ টা করেননি। তাঁর মতো ম্যাচিউরড মানুষ এমন কাজ কেমনে করলো" !!
ইসলাম যদিও এ কাজটা সাপোর্ট করেনা,আমিও না!!!
উনি এই কাজটা না করলে এই সমাজব্যবস্থা বুঝতোই না, কতো বড়ো একটা গলদ, কতো বড়ো একটা অবিচার রয়ে গেছে আমাদের বিচার ব্যাবস্থায়। এক্সট্রা ম্যারিটাল এফেয়ারের মতো জঘন্য কুরুচির কাজের কী শাস্তির বিধান দেশের আইনে আছে আমি জানিনা। তবে যদি না থাকে, হে সমাজ জেনে নিও, আকাশ ই শেষ নয়। আরও কতোশতো আকাশ কিংবা আসমানী এ তালিকায় যুক্ত হওয়ার অপেক্ষায় আছে। ভিক্টিম পুরুষ কিংবা নারী যে কেউই হতে পারে। আকাশ এখানে কেবল একটি নাম্বার মাত্র।আর কিচ্ছু না।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই অধ্যাপক দম্পতির কথা মনে আছে? যার স্ত্রী বিদেশে PHD করতে গিয়ে তার চেয়ে অল্প বয়সের এক ইরানি ছেলের সাথে অনৈতিক কুরুচিপূর্ণ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে যিনি নিজেও ঢাবির শিক্ষক ছিলেন। এসব জানতে পেরে, স্বামী রাগের মাথায় স্ত্রীর চোখে আঘাত করে, কামড়ে মুখের মাংস তুলে নেয়। পুরো দেশ ঐ বেচারা স্বামীর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে গিয়েছিলো, তাঁকে রিমান্ডে নেওয়া হলো, আর মাঝবয়সে এসেও পরকিয়া করা মহিলাকে দেওয়া হলো উচ্চতর চিকিৎসা,সহমর্মিতা ও অন্যান্য সুবিধা। সেদিন যদি ঐ অধ্যাপক যদি সুইসাইড করতো, তাহলেই হয়তো এই সমাজ ফ্যাচ ফ্যাচ করতে করতে পরকিয়া করা উচ্চশিক্ষিতার বিরুদ্ধে যেতো। কিন্তু তিনি সুইসাইড না করে স্ত্রীর বিচার করতে গিয়ে ভিলেন হয়ে গেলেন।
একটা হাদীস দিয়ে শেষ করি, যদিও পুরোপুরি হাদিসটা মনে নেই। একবার রাসুল (সা) এর সামনে তাঁর এক সাহাবিকে জিজ্ঞেস করা হলো, যদি আপনি বাসায় গিয়ে দেখেন আপনার স্ত্রী একজন পরপুরুষের সাথে একই বিছানায় শুয়ে আছে, আপনি কী করবেন? তখন সেই সাহাবি জবাব দিলো, আমি তলোয়ারের আঘাতে তথক্ষণাৎ তাদের হত্যা করবো।  তখন সেই সাহাবিকে বলা হলো, আপনি এতোটা ঈর্ষা করেন?
সেই সময় রাসুল (সা) এই কাজে সম্মতি প্রকাশ করে বলেন, "আমি এ ব্যাপারে তার চেয়েও বেশি ঈর্ষান্বিত।এবং আল্লাহপাক এব্যাপারে সর্বাধিক ঈর্ষান্বিত"।
অর্থাৎ, এটা এমন একটা কাজ, যেখানে কোন মার্সি নেই।আমাদের ঘুম ভাঙবে কবে???"

নাভীর নীচের অবাঞ্ছিত লোমের সীমানা

নাভীর নীচের অবাঞ্ছিত লোমের সীমানা হলো : পায়ের পাতার উপর ভর করে বসা অবস্থায় নাভী থেকে চার পাঁচ আঙ্গুল পরিমাণ নীচে যে ভাঁজ বা রেখা সৃষ্টি হয় ...