'সময় টিভি কর্তৃক তথ্য সন্ত্রাসে বিভ্রান্ত হবেন না : ইয়াবাসহ আটক শহীদ আলেম নয়'
_ নাফ বৃহত্তর ক্বওমী ছাত্র সংগঠন
সম্প্রতি দেশের সকল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়েছে যে, ইয়াবাসহ আটক ব্যক্তিটি দেওবন্দ ও পটিয়া মাদরাসার ছাত্র । সংবাদটি আমরা গভীরভাবে লক্ষ্য করেছি। এ ঘটনা নিয়ে ব্যপক অনুসন্ধান চালিয়েছি। আমরা অনুসন্ধানে যা পেয়েছি তা পাঠক মহলে "নাফ বৃহত্তর কাওমী ছাত্র সংগঠন"র পক্ষ থেকে বিবৃতি হিসাবে প্রদান করা হল।
বিবৃতি দাতারা হলেন :
মাও. আরিফুল ইসলাম রাফি সভাপতি
মাও. সাইদুল ইসলাম সায়েম সাধারণ সম্পাদক
“নাফ বৃহত্তর কাওমী ছাত্র সংগঠন” টেকনাফ, কক্সবাজার।
আটককৃত ব্যক্তির পরিচয়:
নাম : শহীদ উল্লাহ,
পিতা: মৃত আবদুল আজিজ প্রকাশ (সোনালী)
মাতা: দলা বিবি
গ্রাম: মিস্ত্রিপাড়া, শাহপরীরদ্বীপ, সাবরাং, টেকনাফ,কক্সবাজার।
শিক্ষা ও বাস্তবতা: শহীদ উল্লাহ শাহপরীরদ্বীপের একিট মাদরাসা থেকে শিশুকালে হিফজ শেষ করার পর কোন মাদরাসার নিয়মিত ছাত্র ছিলনা। তার আদর্শ খারাপ হওয়ায় কোন মাদরাসায় তাকে ছাত্রত্বের সুযোগ দেয়া হয়নি। চুরির অপরাধে একবার শহীদকে মাদরাসা থেকে শাস্তি দিয়ে বহিস্কার করা হয়েছিল। সে ভারতের দেওবন্দ ও ঐতিহ্যবাহী চট্টগ্রামের পটিয়া মাদরাসায় কোন সময় পড়া লেখা করেনি। আটক শহীদ আলেম নয়, কোন মাদরাসা থেকে সে দাওরা হাদিস পাশ করেনি, তার কোন সনদ পত্র নেই।
কয়েক বৎসর আগে সে মালয়েশিয়া, নেপাল ও পাকিস্তান (বিমান-গাড়ী) যোগে মানব পাচারের সাথে জড়িত ছিলো।নেপাল যাওয়ার পথে ভারত পুলিশের হতে আটক হয়ে ১ বৎসর জেলে বন্দি থাকে। দেশে এসে অবৈধ মাাদকের সাথে জড়িত হয়ে চিহ্নিত বিপথগামী মাওলানা হিসাবে দিনাতিপাত করে। গত এক বৎসর আগেও ইয়াবাসহ আটক হয়ে দীর্ঘ দিন জেলে ছিল।
মাত্র ৩০ বৎসর বয়সে বিয়ে করে ৩ টি, ২য় স্ত্রী চিহ্নিত বিপথগামী হুজুর বুঝতে পেরে স্বেচ্ছায় চলে যায়। মাত্র কয়েক মাস পূর্বে ৩য় বিয়ে করে এলাকার বাহিরে থাকত।
হঠাৎ আটক ও সংবাদ :
পরিবারের দাবী, শহীদ কে ১ সপ্তাহ আগেই পাঞ্জাবী পরাবস্থায় ঢাকায় আটক করে প্রশাসন। অথচ, মিডিয়ায় দেখানো হচ্ছে জুব্বা পরা যেন একজন বড় মাপের আলেমকে ইয়াবাসহ পবিত্র মসজিদ থেকে আটক করেছে।
সম্মানীত পাঠক, এবার আপনারাই বিবেচনা করুন, _হুজুর কর্তৃক ইয়াবা ব্যবসা! পুরো ঘটনাটাই পূর্ব থেকে সাজানো।
_হুজুর ইয়াবা নিয়ে বের হলেন ওঁৎ পেতে থাকা গোয়েন্দা চট করে ইয়াহু বলে ধরে ফেললেন।
এবং
_সময়মত সময় টিভিও সময় মতো হাজির !!
সরকারের মাদক বিরুধী অভিযানকে আমরা আন্তরিকতা ও সম্মানের সহিত স্বাগত জানাই। টেকনাফসহ দেশের সকল ইয়াবা ব্যবসায়ীর কঠিন শাস্তি ও তাদের অর্জিত সম্পদ জব্দ করে আগামী প্রজম্মকে রক্ষা ও শিক্ষা দেয়ার আহবান জানাচ্ছি।
পরিশেষে অবগত করতে চাই দেশের কাওমী মাদরাসা গুলো এখনো এত বেশী নষ্ট হয়নি যে শহিদেরমত পাপিষ্টকে লালন করবে, জঙ্গীবাদকে উৎসাহিত করবে। কাওমী মাদরাসা হল সঠিক সু-আদর্শবান নাগরিক ও জাতি গঠণের নিখুঁত ঠিকানা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন