বৃহস্পতিবার, ২৪ মে, ২০১৮

ফেতরা ২০১৮

এবার জনপ্রতি সর্বনিম্ন ফেতরা ৭০ টাকা নির্ধারণ করেছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। বায়তুল মোকাররমের সভাকক্ষে জাতীয় ফেতরা নির্ধারণ কমিটির সভায় সোমবার এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব ও জাতীয় ফেতরা নির্ধারণ কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিনের সভাপতিত্বে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।


সভায় সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যে, ইসলামী শরীয়াহ মতে গম, আটা, খেজুর, কিসমিস, পনির, যব ইত্যাদি পণ্যগুলোর যে কোনো একটি দিয়ে ফেতরা দেওয়া যাবে। গম বা আটা দিয়ে ফেতরা আদায় করলে ১ কেজি ৬শ ৫০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ৬৫ টাকা আদায় করতে হবে। আর খেজুর দ্বারা আদায় করলে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ২০০০ টাকা, কিসমিস দিয়ে আদায় করলে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ১৪৮৫ টাকা এবং পনির দিয়ে আদায় করলে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ১৫৮৫ টাকা ফিতরা আদায় করতে হবে। ফিতরা প্রদানকারী নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী সাদকাতুল ফেতর আদায় করতে পারবেন। উল্লেখ্য, উপরিউক্ত দ্রব্যসমূহের স্থানীয় খুচরা বাজার মূল্যের তারতম্য রয়েছে। স্থানীয় মূল্যে পরিশোধ করলেও ফিতরা আদায় হবে।


প্রসঙ্গত, হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ‘রাসুলে আকরাম (সা.) এর জামানায় ঈদুল ফিতরের দিনে আমরা ফিতরা বাবদ (মাথাপিছু) এক সা পরিমাণ খাদ্য দান করতাম। আর আমাদের খাদ্য ছিল যব, কিশমিশ, মোনাক্কা, পনির ও খোরমা।’- (বুখারী শরীফ) হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমার (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) ছোট, বড়, স্বাধীন ও ক্রীতদাসের ওপর এক সা যব অথবা এক সা খোরমা সাদকাতুল ফিতর হিসেবে নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন।
উপরোক্ত হাদীসসমূহের আলোকে আমাদের দেশে এক সা যব বা খোরমাকে একসের সাড়ে বারো ছটাক গম কিংবা আটাতে রূপান্তরিত করা হয়। উক্ত সম পরিমাণ খাদ্যদ্রব্য না দিয়ে নগদ টাকা দিলেও ফিতরা আদায় হয়ে যাবে। ফিতরা ঈদের নামাজের পূর্বে আদায় করা উত্তম।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নাভীর নীচের অবাঞ্ছিত লোমের সীমানা

নাভীর নীচের অবাঞ্ছিত লোমের সীমানা হলো : পায়ের পাতার উপর ভর করে বসা অবস্থায় নাভী থেকে চার পাঁচ আঙ্গুল পরিমাণ নীচে যে ভাঁজ বা রেখা সৃষ্টি হয় ...