রবিবার, ৪ মার্চ, ২০১৮

সুদ ও লাভের পার্থক্য

সুদ  মুনাফার মধ্যে পার্থক্যঃ


সুদ                     মুনাফা


১) সুদ হারাম          ১) মুনাফা হালাল

২) ঋণের বিপরীতে সময়ের সাথে  যে  কোন  বৃদ্ধি  সুদ
২) ব্যবসা থেকে মুনাফা অর্জিত হয়

৩) সুদ নিশ্চিত ও নির্ধারিত

৩) মুনাফা অনিশ্চিত ও অনির্ধারিত

৪) সুদ ব্যবসার ঝুঁকি বহন করে না

৪) মুনাফা অর্জনে ঝুঁকি গ্রহন করতে হয়

৫) সময় ও ঋণের সাথে সম্পর্কিত

৫) ক্রয় ও বিক্রয় এর সাথে সম্পর্কিত

৬) সুদ বার বার ধার্য করা হয়

৬) মুনাফা একবারই ধার্য হয়

৭) উৎপাদনশীলতা কমে

৭) উৎপাদনশীলতা বাড়ে

৮) দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পায়

৮) দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পায় না

৯) মুদ্রাস্ফীতি বাড়ে

৯) মুদ্রাস্ফীতি কমে

১০) সুদ বেকারত্ব সৃষ্টি করে

১০) মুনাফা কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে

বর্তমানে কেউ কেউ সুদকে মুনাফা বলে চালিয়ে দিচ্ছে। তাদের বক্তব্য হলো- সুদের অর্থ যেমন অতিরিক্ত, বেশি, বৃদ্ধি তেমনি ব্যবসার মাধ্যমে অর্জিত মুনাফাও তো অতিরিক্ত, বেশি বা বৃদ্ধি। কাজেই সুদ ও মুনাফা একই জিনিস।

অথচ আল্লাহ তায়ালা সূরা বাকারা-২৭৫ নং আয়াতে বলেন-

ٱلَّذِينَ يَأْكُلُونَ ٱلرِّبَوٰا۟ لَا يَقُومُونَ إِلَّا كَمَا يَقُومُ ٱلَّذِى يَتَخَبَّطُهُ ٱلشَّيْطَٰنُ مِنَ ٱلْمَسِّ ۚ ذَٰلِكَ بِأَنَّهُمْ قَالُوٓا۟ إِنَّمَا ٱلْبَيْعُ مِثْلُ ٱلرِّبَوٰا۟ ۗ وَأَحَلَّ ٱللَّهُ ٱلْبَيْعَ وَحَرَّمَ ٱلرِّبَوٰا۟ ۚ فَمَن جَآءَهُۥ مَوْعِظَةٌ مِّن رَّبِّهِۦ فَٱنتَهَىٰ فَلَهُۥ مَا سَلَفَ وَأَمْرُهُۥٓ إِلَى ٱللَّهِ ۖ وَمَنْ عَادَ فَأُو۟لَٰٓئِكَ أَصْحَٰبُ ٱلنَّارِ ۖ هُمْ فِيهَا خَٰلِدُونَ

অর্থঃ যারা সুদ খায় তাদের অবস্থা হয় সেই লোকটির মতো যাকে শয়তান স্পর্ষ করে পাগল করে দিয়েছে। তাদের এই অবস্থায় উপনিত হওয়ার কারণ হচ্ছে এই যে, তারা বলেঃ ব্যবসাতো সুদেরই মতো। অথচ আল্লাহ ব্যবসাকে হালাল করে দিয়েছেন এবং সুদকে করেছেন হারাম। কাজেই যে ব্যক্তির কাছে তার রবের পক্ষ থেকে এই নসীহত পৌছে যায় এবং ভবিষ্যতে সুদখোরী থেকে সে বিরত হয় সে ক্ষেত্রে যা কিছু সে খেয়েছে তাতো খেয়ে ফেলেছেই  এবং এ ব্যাপারটি আল্লাহর কাছে সোপর্দ হয়ে গেছে। আর এই নির্দেশের পরও যে ব্যক্তি আবার এই কাজ করে, সে জাহান্নামের অধিবাসী।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নাভীর নীচের অবাঞ্ছিত লোমের সীমানা

নাভীর নীচের অবাঞ্ছিত লোমের সীমানা হলো : পায়ের পাতার উপর ভর করে বসা অবস্থায় নাভী থেকে চার পাঁচ আঙ্গুল পরিমাণ নীচে যে ভাঁজ বা রেখা সৃষ্টি হয় ...