সোমবার, ১২ মার্চ, ২০১৮

সমালোচনা কীভাবে করব?

চিন্তাশীল পাঠকমাত্রই সমালোচক। তিনি পড়েন, বোঝেন; তারপর, যা পড়েন তা নিয়ে ভাবেন। লেখকের ভাবনা কি শুদ্ধ? তিনি কি নতুন কোন কথা বললেন ইত্যাদি? এরপর লেখাটাকে নিজের মতামতের সাথে মিলিয়ে কোথায় কোন পয়েন্টে তার কাছে অসঙ্গতিপূর্ণ মনে হয়েছে সেটা সমালোচনায় নিয়ে আসেন। আপনি যদি মনোযোগী হয়ে লেখা পড়েন আর পরিপূর্ণতার সাথে বুঝে থাকেন তবে অবশ্যই সে লেখার প্রেক্ষাপটে আপনার নিজস্ব মন্তব্য বেড়িয়ে আসবে। কারণ যিনি লিখেছেন তিনিও তো মানুষ। এজন্য সমালোচনা করা লাগে না, বরং আপনা আপনি হয়ে যায়। একজন চিন্তাশীল পাঠকের সমালোচনা তার আয়ত্বাধীন হয় না। মনের কোণে আঁকিবুঁকি দিতে থাকে কিন্তু যে বিষয়টা সবারই আয়ত্বাধীন থাকে তা হল সমালোচনার ভাষা ব্যবহার করা। হ্যাঁ! আপনি কোন ভাষায় অন্যের সমালোচনা করবেন তা কিন্তু সম্পূর্ণই আপনার ইচ্ছাধীন। ভাষা প্রয়োগের ফলে একটা নীতিগতভাবে ভাল সমালোচনাও হয়ে যায় নাজায়িয গীবত বা ফাহেশাতের অন্তর্ভূক্ত। ভাষা পার্থক্যের দরুন অনুযোগ অভিযোগে পরিণত হয়। বড়ই পরিতাপের বিষয় হল, আজকাল আমরা কারো লেখা বা অন্যকিছুতে সমালোচনা করতে যেয়ে এমন সব ভাষা ব্যবহার করি যা কখনোই উচিৎ নয়। আমি যদি ভাষার লাগাম ধরে রাখতে নাই পারি তবে সমালোচনা করাই বাদ দেই। যদি ভাল কাজ করতে না পারি তবে খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকি। ফরীদুদ্দীন আত্তার রহমাতুল্লাহ আলাইহি কত সুন্দর কথাই না বলেছেন! 
قوت نیکی نداری بد مکن
بر وجود خود ستم بیحد مکن
ভাল কাজ না পারিলে, খারাব করিও না

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নাভীর নীচের অবাঞ্ছিত লোমের সীমানা

নাভীর নীচের অবাঞ্ছিত লোমের সীমানা হলো : পায়ের পাতার উপর ভর করে বসা অবস্থায় নাভী থেকে চার পাঁচ আঙ্গুল পরিমাণ নীচে যে ভাঁজ বা রেখা সৃষ্টি হয় ...