বৃহস্পতিবার, ১৫ মার্চ, ২০১৮

অন্যায় কাজে বাঁধা দেওয়া

তোমাদের কেউ যখন কোনো অন্যায় কাজ হতে দেখে, তখন সে যেন তা হাত দ্বারা প্রতিহত করে, যদি সে তা না পারে, তাহলে যেন মুখের কথা দ্বারা তা প্রতিহত করে,এও যদি না পারে তাহলে যেন অন্তরে এটাকে ঘৃণা করে। আর এটা হল ঈমানের দুর্বলতম স্তর। -সহীহ মুসলিম, হাদীস ৪৯
এই হাদীসে কোনো অন্যায় দেখলে সেটা প্রতিরোধ করা ও অন্যায় মিটিয়ে দেওয়ার সাধ্যমতো চেষ্টা করার হুকুম করা হয়েছে এবং এর তিনটি স্তর বলা হয়েছে-
১. যদি সেই অন্যায় দমন করার শক্তি ও ক্ষমতা থাকে তাহলে শক্তি প্রয়োগ করে অন্যায় দমন করবে।
২. যদি শক্তি না থাকে তাহলে মৌখিক উপদেশ, মৌখিক বোঝানো-সমঝানোর মাধ্যমে তা রোধ করা এবং সংশোধন করার চেষ্টা করবে।
৩. আর যদি পরিস্থিতি এতই প্রতিকূল হয় আর দ্বীনদার শ্রেণি এতই দুর্বল অবস্থানে হয় যে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে মুখ খোলারও অবকাশ নেই, তাহলে সর্বশেষ স্তর হল, অন্তর থেকে এটাকে অন্যায় মনে করবে এবং তা দূর করার প্রেরণা অন্তরে পোষণ করবে। এর স্বাভাবিক ফল অন্তত এই হবে যে, আল্লাহর কাছে দুআ করতে থাকবে এবং এটা মিটানোর পন্থা ও ব্যবস্থাও চিন্তা করতে থাকবে...। এই সর্বশেষ স্তরটাকে হাদীসে أضعف الإيمان বলা হয়েছে। এর অর্থ, এটা হল ঈমানের সেই সর্বশেষ দুর্বল স্তর, যার পরে ঈমানের আর কোনো স্তর নেই। (মাআরিফুল হাদীস, খ. ১, হিস্যা. ১, পৃ. ১০০)

আমার সামনে যদি আমার ছেলে/ভাই কোন খারাপ কাজ করে তাকে বাঁধা প্রদান করার সুযোগ বা সামর্থ আমার আছে। এর জন্যে প্রাথমিক পর্যায়েই প্রশাসন বা সামাজিক মহলের হস্তক্ষেপের প্রয়োজন নেই। তেমনি সামাজিক পর্যায়ের কোন অনৈতিক কাজের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্যে প্রাথমিক পর্যায়ে একক প্রচেষ্টায় প্রতিবাদ শুরু হলেও তা কখনোই যথেষ্ট নয়। এর জন্যে দরকার সামাজিক বা প্রশাসনিক সহযোগিতা ও আইনি হস্তক্ষেপ। এখন জাতীয় পর্যায়ের সমস্যা যদি কেউ বিচ্ছিন্নভাবে বা এককভাবে সমাধা করার আপ্রাণ চেষ্টা করে তাহলে তা কোন ফলপ্রসূ প্রচেষ্টা হবে না। ঝর যত বিশাল আয়তনে আসে প্রতিরোধ ব্যবস্থা ও তেমন মজবুত হতে হয়। ঝরের মোকাবেলায় এককভাবে ছাতা নিয়ে এগিয়ে যাওয়া যেমন চরম বোকামী, জাতীয় পর্যায়ের কোন সমস্যার মোকাবেলায় ভুল পথে বিচ্ছিন্ন প্রচেষ্টা করাও ঠিক তেমনি বোকামী। এতে সমস্যার সমাধান তো দূরের কথা উল্টো সমস্যা তৈরী হয়ে যায়।

নাস্তিকতা আর ইসলামী মূল্যবোধে আঘাত হানা এই সময়ের অন্যতম জাতীয় সমস্যায় পরিণত হয়ে গেছে। এর মোকাবেলা জাতীয় পর্যায়ে থেকেই করতে হবে। এজন্যে এমন জাতি গঠণ করতে হবে যাদের প্রতাপে রাস্তার ধূলিবালি এমনিতেই উড়ে যায়। হোক সে জাতি প্রশাসন বা জনতার ভোটে নির্বাচিত সরকার।।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নাভীর নীচের অবাঞ্ছিত লোমের সীমানা

নাভীর নীচের অবাঞ্ছিত লোমের সীমানা হলো : পায়ের পাতার উপর ভর করে বসা অবস্থায় নাভী থেকে চার পাঁচ আঙ্গুল পরিমাণ নীচে যে ভাঁজ বা রেখা সৃষ্টি হয় ...