জানুয়ারি ০৯ তারিখটা ইংরেজি ক্যালেন্ডার মতে আমার জন্ম তারিখ। যেটাকে আমরা জন্মদিন বলে থাকি। আসলে যেদিন আমরা জন্মেছি সেদিন তো আর ঘুরে আসে না, আসে সেই তারিখটা। এজন্যই একি বছরে কেউ কেউ নাকি দুই তিনটা জন্মদিনও পালন করে থাকে! কারণ অনুসন্ধান করলে দেখবেন যে, সেগুলো জন্মদিন নয় ; জন্ম তারিখ!!
যাই হোক এবার আসি মূল কথায়। এককালে জন্মদিন দিন নিয়ে বেশ হট্টগোল আর আয়োজন দেখা যেত শহর-বন্দরে। এখন শহর শহরতলী বা নির্জন পল্লীর কোন ভেদাভেদ নাই। জন্মদিন মানেই বিশেষ কিছু আশা বা ভিন্ন কিছু করা। সে ভিন্নতা আর বিশেষের সীমা ছাড়িয়ে দিয়েছে বিভিন্ন এঙ্গেলের সম্পর্ক নামক বস্তুটি। এমনও দেখা যায়, ইস্তারির বার্থডে পালন করতে স্বামী বেচারাকে সেদিন পকেটস্থ কলুরবলদ হতে হয়। নইলে সম্পর্কের নুড়ি পাথরের অধঃপতন শুরু হয়।
কেন এই জন্মদিন? এর একটি মাত্র জবাব, আনুষ্ঠানিকতা আর ফুর্তি।
কীভাবে বা কবে থেকে এর প্রচলন? এর উত্তর, বাঙ্গালীর বা বর্তমানে নামে মাত্র মুসলিমদের জন্য উৎসবের কোন শিক্ষামূলক উৎস লাগে না। পশ্চিমের দেশগুলোর প্রতিটা পদক্ষেপই এদেশের জনগণের অনুসরণীয় আমল।
হায় আফসোস!
অথচ জন্মদিন পালন বা উইশ করা কখনোই ইসলাম সমর্থিত করণীয় কাজ নয়। বাংলাদেশসহ সমস্ত বিশ্বের উলামাদের ফাতাওয়া হল জন্মদিন পালন করা নাজায়েজ।
এখানে অনেকেই বিভিন্নভাবে নাক গলায়। কেউ বলেন, এটা তো ধর্মীয় কোন কিছু নয়। এতে জায়িয নাজায়িয এর কী রয়েছে? এটাতো একটা আনন্দ অনুষ্ঠান মাত্র। এখানে আমি বলবো, মুসলমানদের পক্ষে কোন দিনকে অনুষ্ঠানের জন্য নির্দিষ্ট করা তো কেবল আল্লাহ তায়ালা কাজ।
ইসলামে দুটি দিবস ব্যতীত অন্য তৃতীয়
কোন দিবস পালন করা জায়িয নয়৷
আনাস (রা) বলেন, "রাসুল (সা) মদীনায়
আগমন করে দেখলেন যে, মদীনাবাসীরা দুটি ঈদ (আনন্দের দিন) পালন করছে ৷ তা দেখে রাসূল (সা) বললেন, জাহীলিয়াতের যুগে
তোমাদের দুটি দিন ছিল যাতে তোমরা
খেলাধূলা, আনন্দ-ফুর্তি করতে এখন ঐ
দিনগুলির পরিবর্তে আল্লাহ্
তোমাদেরকে দুটি উত্তম দিন প্রদান
করেছেন, ঈদুল ফিৎর ও ঈদুল আযহার
দিন। (আবূ দাউদ: ১০০৪, নাসাই: ১৫৫৫ হাদীস সহীহ)
এই হাদিসে রাসুল (সাঃ) বলেছেন
ঐ দুটি দিনের পরিবর্তে আল্লাহ্ তোমাদেরকে দুটি উত্তম দিন প্রদান করেছেন। এখানে যদি রাসুল (সাঃ) বলতেন তোমাদের ছিল দুটি দিন, আর আল্লাহ্ তোমাদেরকে দিয়েছেন আরো দুটি দিন। তাহলে মুসলিমরা ১৪০০ বছর যাবৎ ৪টি উৎসবের দিন পালন করে আসতো।
যেহেতু আল্লাহর রাসুল (সাঃ) অন্য মানব
রচিত গুলো পরিবর্তন করে আল্লাহর
পক্ষ থেকে দুটি উত্তম দিন প্রদান
করেছেন তাই অন্য যে কোন দিবস
পালন করা এমনিতেই বাতিল হয়ে যায়।
তাই কোন মুসলিমদের জন্য অন্য
কোন প্রকার দিবস পালন করা বৈধ নয়,
হোক সেটা জন্মদিন বা অন্য কিছু৷
এছাড়াও এই ধরণের যত প্রকার দিবস রয়েছে
সেগুলোর কোনটাই মুসলিমদের
সংস্কৃতি নয়।
যদি এগুলো মুসলিমদের সংস্কৃতি হত
তবে এগুলো সাহাবাদের যুগ থেকেই
পালিত হয়ে আসতো।
তাই যেহেতু এগুলো মুসলিমদের
সংস্কৃতি নয় তাহলে বুঝাই যাচ্ছে যে
এগুলো কাফের-মুশরিক বিজাতীয়দের
সংস্কৃতি থেকে এসেছে। আর এ প্রসঙ্গে রাসূল ﷺ বলেছেন,
‘যে ব্যক্তি যে জাতির অনুকরণ করবে,
সে ব্যক্তি সেই জাতিরই একজন বলে
গণ্য হবে’ ( আবূ দাঊদ হা/৪০৩১) ।
আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আস রাঃ
থেকে বর্ণিত রাসূল সাঃ বলেছেন, যে
ব্যক্তি মুশরিকদের দেশে বাড়ী তৈরি
করল তাদের উৎসব দিবস পালন করল এবং এ অবস্থায় মারা গেল তবে তার হাশর তাদের
সাথেই হবে। (সূনানে বাইহাকীঃ ২৩৪)
নবী মুহাম্মাদ ( ﷺ ) বলেন, “যে ব্যক্তি
বিজাতির তরীকা অনুযায়ী আমল করে,
সে আমাদের কেউ নয়।”(ত্বাবারানী,
সিলসিলাহ সহীহাহ ২১৯৪নং)
“আমাদের তরীকা ওদের (মুশরিকদের)
তরীকা থেকে ভিন্ন।”(বাইহাকী
৫/১২৫, সিলসিলাহ সহীহাহ ২১৯৪)
সাওবান (রা:) বলেন, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, "আমি সবচেয়ে
যাদের বেশী ভয় করি তারা হচ্ছে
নেতা ও এক শ্রেনীর আলেম সমাজ।
অচিরেই আমার উম্মতের কিছু লোক
মূর্তিপূজা করবে। আর অতি শীঘ্রই আমার
উম্মতের কিছু লোক বিজাতিদের সাথে
মিশে যাবে।" [ইবনে মাজাহঃ ৩৯৫২)
আবূ সাঈদ খুদরী (রা.) থেকে বর্ণিত।
নাবী (স.) বলেছেন, “অবশ্য অবশ্যই
তোমরা তোমাদের আগের
লোকদের নীতি-পদ্ধতিকে বিঘতে
বিঘতে, হাতে হাতে অনুকরণ করবে।
এমনকি তারা যদি গুইসাপের গর্তে ঢুকে,
তাহলে তোমরাও তাদের অনুকরণ
করবে। আমরা বললাম, হে আল্লাহর রসূল
(স.)! এরা কি ইয়াহুদী ও নাসারা? তিনি (স.) বললেন, আর কারা?” –[সহীহুল বুখারী
৭৩২]
এখনো অনেকেই বলেন যে, বর্তমানে তো জন্মদিন পালন অমুসলিমদের সাদৃশ্যতা হিসেবে বাকি নেই ৷ তাহলে আমি বলব , এটা একটা মিথ্যা কথা ছাড়া কিছু না ৷ কেক কাটাসহ যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা তো বিজাতীয় কালচারই৷ এমনকি আজও যদি হলিউড - বলিউডের কেউ জন্মদিনে বিবস্ত্র হওয়ার রীতি চালু করে দেয় , তবে আমি নিশ্চিতরূপে বলতে পারি যে, চক্ষুলজ্জা না থাকলে এদেশেও তা চালু হয়ে যেত।
আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে সঠিক বুঝ দান করুন।
এ বিষয়ে একটি ফাতাওয়ার কপি দিচ্ছি।
ﺍﻟﺴﺆﺍﻝ
ﻓﻴﻤﺎ ﻳﺘﻌﻠﻖ ﺑﺎﻟﺴﺆﺍﻝ ﺭﻗﻢ: 2511653 ، ﺃﺷﻜﺮﻛﻢ ﻋﻠﻰ
ﺍﻹﻓﺎﺿﺔ ﻓﻲ ﺍﻟﺮﺩ، ﻭﻋﺬﺭﺍ ﺳﺎﻣﺤﻮﻧﻲ ﻭﺗﻘﺒﻠﻮﺍ ﺍﻋﺘﺬﺍﺭﻱ
ﻹﺭﺳﺎﻟﻲ ﺍﻟﺴﺆﺍﻝ ﺩﻭﻥ ﺃﻥ ﺃﺑﺤﺚ ﺃﻭﻻً ﻓﻲ ﺍﻟﻤﻮﻗﻊ،
ﻓﺤﺴﺐ ﺍﻟﻔﺘﻮﻯ ﺭﻗﻢ: 190193 ، ﺍﻟﻤﻮﺟﻮﺩ ﻓﻲ ﺍﻟﺮﺩ
ﻋﻠﻰ ﺳﺆﺍﻟﻲ ﺍﻷﺻﻠﻲ، ﻓﺈﻥ ﻛﻞ ﻣﺎ ﺍﻧﺘﺸﺮ ﺑﻴﻦ ﺍﻟﻨﺎﺱ،
ﻭﻻ ﻳﺘﻤﻴﺰ ﺑﻪ ﺍﻟﻜﻔﺎﺭ ﻋﻦ ﻏﻴﺮﻫﻢ ﻓﺈﻧﻪ ﻻ ﻳﺪﺧﻞ ﻓﻲ
ﺍﻟﻨﻬﻲ ﺣﺘﻰ ﻳﺮﺩ ﺩﻟﻴﻞ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﺘﺤﺮﻳﻢ، ﻭﻟﻮ ﻛﺎﻥ ﺃﺻﻠﻪ
ﻣﺄﺧﻮﺫﺍ ﻣﻦ ﺍﻟﻜﻔﺎﺭ، ﻭﺣﺴﺐ ﺍﻟﻔﺘﻮﻯ ﺭﻗﻢ: 8672 ، ﻓﺈﻥ ﻟﺒﺲ ﺍﻟﺒﻨﻄﺎﻝ ﻭﺍﻟﺠﺎﻛﻴﺖ ﻟﻢ ﻳﻌﺪ ﻣﻤﺎ ﻳﺘﻤﻴﺰ ﺑﻪ ﻗﻮﻡ ﻋﻦﻗﻮﻡ، ﻭﻟﺬﻟﻚ ﻻ ﻳﻌﺪ ﻣﻦ ﻟﺒﺴﻪ ﻣﺘﺸﺒﻬﺎ ﺑﺎﻟﻜﻔﺎﺭ، ﻟﺨﺮﻭﺝ ﺫﻟﻚ ﻋﻦ ﺍﻻﺧﺘﺼﺎﺹ ﺑﻬﻢ، ﻭﺣﺴﺐ ﺍﻟﻔﺘﻮﻯ ﺭﻗﻢ: 579 ،
ﻓﺈﻥ ﺭﺑﻄﺔ ﺍﻟﻌﻨﻖ ﺃﺻﻞ ﻧﺸﺄﺗﻬﺎ ﺑﺄﻭﺭﺑﺎ، ﻭﻳﻘﺎﻝ ﺇﻧﻬﺎ ﻛﺎﻧﺖ
ﻓﻲ ﺍﻷﺻﻞ ﺭﻣﺰﺍً ﻟﻄﺎﻋﺔ ﺍﻟﺰﻭﺝ ﻟﺰﻭﺟﺘﻪ، ﺛﻢ ﺃﺧﺬﺕ ﻓﻲ
ﺍﻟﺘﻬﺬﻳﺐ ﺇﻟﻰ ﻣﺎ ﻫﻲ ﻋﻠﻴﻪ ﺍﻵﻥ، ﻭﻗﺪ ﺻﺎﺭﺕ ﻋﺎﺩﺓ ﻟﺪﻯ
ﻛﺜﻴﺮ ﻣﻦ ﺍﻟﻤﺴﻠﻤﻴﻦ، ﻭﺧﺮﺟﺖ ﻋﻦ ﺣﺪ ﺍﻟﺨﺼﻮﺻﻴﺔ
ﺑﺎﻟﻜﻔﺎﺭ ﻭﻋﻦ ﺍﻟﺘﺸﺒﻪ ﺑﻬﻢ، ﻓﻤﺎ ﻓﻬﻤﺘﻪ ﺃﻥ ﺃﻋﻴﺎﺩ ﺍﻟﻤﻴﻼﺩ
ﺣﺮﺍﻡ ﻓﻲ ﺍﻟﻮﻗﺖ ﺍﻟﺤﺎﻟﻲ ﺇﻟﻰ ﺃﻥ ﺗﻨﺘﺸﺮ ﺑﻴﻦ ﺍﻟﻤﺴﻠﻤﻴﻦ،
ﻭﺣﻴﻨﺌﺬ ﺗﺼﺒﺢ ﺣﻼﻻ ﻛﺎﻟﺒﻨﻄﺎﻝ ﻭﺭﺑﻄﺔ ﺍﻟﻌﻨﻖ، ﻭﺇﺫﺍ ﻛﺎﻥ ﻣﺎ ﻓﻬﻤﺘﻪ ﺻﺤﻴﺤﺎ، ﻓﺈﻧﻨﻲ ﺃﺭﻯ ﺃﻥ ﺃﻋﻴﺎﺩ ﺍﻟﻤﻴﻼﺩ ﻗﺪ ﺍﻧﺘﺸﺮﺕ ﺑﻴﻦ ﺍﻟﻤﺴﻠﻤﻴﻦ، ﺃﻭ ﻋﻠﻰ ﺍﻷﻗﻞ ﺗﻬﻨﺌﺔ ﺑﻌﻀﻬﻢ ﺍﻟﺒﻌﺾ ﻣﻨﺘﺸﺮﺓ ﻟﻠﻐﺎﻳﺔ، ﻓﻬﻞ ﺃﺻﺒﺤﺖ ﺣﻼﻻ ﺍﻵﻥ؟ ﻭﺇﺫﺍ ﻛﺎﻥ ﻣﺎ ﻓﻬﻤﺘﻪ ﺧﻄﺄ، ﻓﺄﺭﺟﻮ ﺍﻟﺘﻮﺿﻴﺢ . ﻭﺟﺰﺍﻛﻢ ﺍﻟﻠﻪ
ﻛﻞ ﺧﻴﺮ .
ﺍﻹﺟﺎﺑــﺔ
ﺍﻟﺤﻤﺪ ﻟﻠﻪ، ﻭﺍﻟﺼﻼﺓ ﻭﺍﻟﺴﻼﻡ ﻋﻠﻰ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ، ﻭﻋﻠﻰ
ﺁﻟﻪ ﻭﺻﺤﺒﻪ، ﺃﻣﺎ ﺑﻌﺪ :
ﻓﻨﺸﻜﺮ ﻟﻚ ﺗﻮﺍﺻﻠﻚ ﻣﻊ ﻣﻮﻗﻌﻨﺎ، ﻭﻓﻴﻤﺎ ﻳﺘﻌﻠﻖ ﺑﺤﻜﻢ
ﺃﻋﻴﺎﺩ ﺍﻟﻤﻴﻼﺩ ﺍﻟﺸﺨﺼﻴﺔ: ﻓﺈﻥ ﺑﻌﺾ ﺍﻟﻤﻌﺎﺻﺮﻳﻦ ﻳﺮﻯ
ﺃﻧﻬﺎ ﻏﻴﺮ ﻣﺤﺮﻣﺔ ﻟﻠﺤﺠﺔ ﺍﻟﺘﻲ ﺫﻛﺮﺗﻬﺎ ﻓﻲ ﺳﺆﺍﻟﻚ، ﻣﻦ
ﻛﻮﻧﻬﺎ ﻟﻴﺴﺖ ﺗﺸﺒﻬﺎ ﻣﺤﺮﻣﺎ، ﻷﻧﻬﺎ ﻏﻴﺮ ﻣﺨﺘﺼﺔ ﺑﺎﻟﻜﻔﺎﺭ،
ﻛﺎﻟﺪﻛﺘﻮﺭ ﺳﻠﻤﺎﻥ ﺍﻟﻌﻮﺩﺓ ، ﻓﻘﺪ ﻗﺎﻝ ﻛﻤﺎ ﺟﺎﺀ ﻓﻲ
ﻣﻮﻗﻌﻪ: ﺍﻻﺣﺘﻔﺎﻝ ﺑﻌﻴﺪ ﺍﻟﻤﻴﻼﺩ ﺍﻟﺸﺨﺼﻲ ﻟﻴﺲ ﻟﻪ ﺃﻱ
ﺑﻌﺪ ﻋﻘﺎﺋﺪﻱ . ﻣﺸﻴﺮًﺍ ﺇﻟﻰ ﺃﻥ ﺍﻟﺸﺮﻳﻌﺔ ﺟﺎﺀﺕ ﺑﺎﻟﻤﻨﻊِ
ﻭﺍﻟﺤﺬَﺭ ﻭﺍﻟﺘﻮﻗﻴﻒ ﻟﻸﺷﻴﺎﺀ ﺫﺍﺕ ﺍﻟﺒُﻌﺪ ﺍﻟﺪﻳﻨﻲ، ﻟﻜﻦ
ﺍﻷﺷﻴﺎﺀ ﺍﻟﺪﻧﻴﻮﻳﺔ ﻭﺍﻟﻌﺎﺩﺍﺕ، ﻓﺈﻥ ﺍﻷﺻﻞ ﻓﻴﻬﺎ ﺍﻹﺫﻥ
ﻭﺍﻟﺴﻤﺎﺡ، ﺇﻻ ﺇﺫﺍ ﺍﻗﺘﺮﻥ ﺑﻬﺎ ﺷﻲﺀ ﻳﻤﻨﻊ ﻣﻨﻬﺎ ﻣﺜﻞ
ﺍﻟﺘﺸﺒُّﻪ .
ﻭﻗﺎﻝ : ﺇﻥ ﺍﻟﺬﻱ ﻳَﻈﻬﺮ ﻟﻲ ﺃﻥ ﻫﺬﻩ ﺍﻻﺣﺘﻔﺎﻻﺕ ﺍﻟﻔﺮﺩﻳﺔ ـﻭﺫﻟﻚ ﻣﺜﻞ ﺃﻥ ﻳﺠﻤﻊ ﻃﻔﻞ ﺃﺻﺪﻗﺎﺀﻩ ﻭﺃﻭﻻﺩ ﻋﻤِّﻪﻭﺃﻭﻻﺩ ﺧﺎﻟِﻪ ﻓﻲ ﻣﺠﻤﻮﻋﺔ ﺃﻟﻌﺎﺏ، ﺃﻭ ﻋﻠﻰ ﺷﻲﺀ ﻣﻦ ﻫﺬﺍ ﺍﻟﻘﺒﻴﻞ، ﺃﺷﻴﺎﺀ ﻓﻲ ﻏﺎﻳﺔ ﺍﻟﺒﺮﺍﺀﺓ ﻭﺍﻟﺒﺴﺎﻃﺔ
ﻭﺍﻟﻌﻔﻮﻳﺔ ـ ﻻ ﺗﺤﻤﻞ ﺃﻱَّ ﺑﻌﺪ ﻋﻘﺎﺋﺪﻱ، ﻓﺈﻥ ﺍﻷﺻﻞ ﻓﻴﻬﺎ
ﻫﻮ ﺍﻹﺫﻥ ﻭﻟﻴﺲ ﺍﻟﻤﻨﻊ، ﻻﻓﺘًﺎ ﺇﻟﻰ ﺃﻥ ﺍﻷﺻﻞ ـ ﺩﺍﺋﻤًﺎ ـ
ﺃﻗﻮﻯ ﻣﻦ ﺍﻟﺸﻲﺀ ﺍﻟﻄﺎﺭﺉ ﻋﻠﻰ ﺍﻷﺻﻞ، ﻣﻮﺿﺤًﺎ ﺃﻥ
ﻣﺜﻞ ﻫﺬﺍ ﺍﻻﺣﺘﻔﺎﻝ ﻟﻴﺲ ﺗﺸﺒﻬًﺎ، ﻓﻬﻮ ﻟﻴﺲ ﻣﻦ
ﺧﺼﻮﺻﻴﺎﺕ ﺍﻷﻣﻢ ﺍﻟﻜﺎﻓﺮﺓ، ﻭﺇﻧﻤﺎ ﻫﺬﺍ ﻣﻮﺟﻮﺩ ﺍﻵﻥ
ﻋﻨﺪ ﻣﻌﻈﻢ ـ ﺑﻞ ﻛﻞ ـ ﺷﻌﻮﺏ ﺍﻟﻌﺎﻟﻢ . ﺍﻫـ . ﻭﻗﺪ ﺃﻓﺘﺖﺑﺠﻮﺍﺯﻫﺎ ﻛﺬﻟﻚ ﺩﺍﺭ ﺍﻹﻓﺘﺎﺀ ﺍﻟﻤﺼﺮﻳﺔ ﻓﻲ ﻓﺘﻮﺍﻫﺎ ﺭﻗﻢ:(3619)
ﺑﻴﻨﻤﺎ ﻳﺮﻯ ﺁﺧﺮﻭﻥ ﻣﻦ ﺍﻟﻤﻌﺎﺻﺮﻳﻦ ﺗﺤﺮﻳﻤﻬﺎ، ﻭﺣﺠﺘﻬﻢ
ﻟﻴﺴﺖ ﻣﺤﺼﻮﺭﺓ ﻓﻲ ﻣﺠﺮﺩ ﺃﻧﻬﺎ ﺗﺸﺒﻪ ﺑﺎﻟﻜﻔﺎﺭ، ﻭﺇﻧﻤﺎ
ﺍﻟﺤﺠﺔ ﺍﻷﺳﺎﺳﻴﺔ ﺃﻥ ﺍﻷﻋﻴﺎﺩ ﻋﻨﺪﻫﻢ ﻟﻴﺴﺖ ﻣﻦ ﺑﺎﺏ
ﺍﻟﻌﺎﺩﺍﺕ ﺍﻟﻤﺤﻀﺔ ﺍﻟﺘﻲ ﻳﺴﻮﻍ ﺍﻹﺣﺪﺍﺙ، ﻭﺇﻧﻤﺎ ﻫﻲ ﻣﻦ
ﺑﺎﺏ ﺍﻟﺸﻌﺎﺋﺮ ﺍﻟﺘﻲ ﻻ ﻳﺠﻮﺯ ﺍﻹﺣﺪﺍﺙ ﻓﻴﻬﺎ، ﻓﻘﺪ ﺳﺌﻞ
ﺍﻟﺸﻴﺦ ﺍﺑﻦ ﻋﺜﻴﻤﻴﻦ : ﻋﻦ ﺣﻜﻢ ﺃﻋﻴﺎﺩ ﺍﻟﻤﻴﻼﺩ؟ ﻓﺄﺟﺎﺏ
ﺑﻘﻮﻟﻪ: ﻳﻈﻬﺮ ﻣﻦ ﺍﻟﺴﺆﺍﻝ ﺃﻥ ﺍﻟﻤﺮﺍﺩ ﺑﻌﻴﺪ ﺍﻟﻤﻴﻼﺩ ﻋﻴﺪ
ﻣﻴﻼﺩ ﺍﻹﻧﺴﺎﻥ، ﻛﻠﻤﺎ ﺩﺍﺭﺕ ﺍﻟﺴﻨﺔ ﻣﻦ ﻣﻴﻼﺩﻩ ﺃﺣﺪﺛﻮﺍ ﻟﻪ
ﻋﻴﺪﺍ ﺗﺠﺘﻤﻊ ﻓﻴﻪ ﺃﻓﺮﺍﺩ ﺍﻟﻌﺎﺋﻠﺔ ﻋﻠﻰ ﻣﺄﺩﺑﺔ ﻛﺒﻴﺮﺓ ﺃﻭ
ﺻﻐﻴﺮﺓ، ﻭﻗﻮﻟﻲ ﻓﻲ ﺫﻟﻚ ﺃﻧﻪ ﻣﻤﻨﻮﻉ، ﻷﻧﻪ ﻟﻴﺲ ﻓﻲ
ﺍﻹﺳﻼﻡ ﻋﻴﺪ ﻷﻱ ﻣﻨﺎﺳﺒﺔ ﺳﻮﻯ ﻋﻴﺪ ﺍﻷﺿﺤﻰ، ﻭﻋﻴﺪ
ﺍﻟﻔﻄﺮ ﻣﻦ ﺭﻣﻀﺎﻥ، ﻭﻋﻴﺪ ﺍﻷﺳﺒﻮﻉ ﻭﻫﻮ ﻳﻮﻡ ﺍﻟﺠﻤﻌﺔ،
ﻭﻓﻲ ﺳﻨﻦ ﺍﻟﻨﺴﺎﺋﻲ ﻋﻦ ﺃﻧﺲ ﺑﻦ ﻣﺎﻟﻚ ـ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ
ﻋﻨﻪ ـ ﻗﺎﻝ: ﻛﺎﻥ ﻷﻫﻞ ﺍﻟﺠﺎﻫﻠﻴﺔ، ﻳﻮﻣﺎﻥ ﻓﻲ ﻛﻞ ﺳﻨﺔ
ﻳﻠﻌﺒﻮﻥ ﻓﻴﻬﻤﺎ، ﻓﻠﻤﺎ ﻗﺪﻡ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ،
ﺍﻟﻤﺪﻳﻨﺔ ﻗﺎﻝ: ﻛﺎﻥ ﻟﻜﻢ ﻳﻮﻣﺎﻥ ﺗﻠﻌﺒﻮﻥ ﻓﻴﻬﻤﺎ ﻭﻗﺪ
ﺑﺪﻟﻜﻢ ﺍﻟﻠﻪ ﺑﻬﻤﺎ ﺧﻴﺮﺍ ﻣﻨﻬﻤﺎ ﻳﻮﻡ ﺍﻟﻔﻄﺮ ﻭﻳﻮﻡ
ﺍﻷﺿﺤﻰ . ﺍﻫـ .
ﻭﻗﺎﻝ : ﺗﺨﺼﻴﺺ ﺍﻷﻳﺎﻡ، ﺃﻭ ﺍﻟﺸﻬﻮﺭ، ﺃﻭ ﺍﻟﺴﻨﻮﺍﺕ ﺑﻌﻴﺪ ﻣﺮﺟﻌﻪ ﺇﻟﻰ ﺍﻟﺸﺮﻉ ﻭﻟﻴﺲ ﺇﻟﻰ ﺍﻟﻌﺎﺩﺓ، ﻭﻟﻬﺬﺍ ﻟﻤﺎ ﻗﺪﻡ
ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﻋﻠﻰ ﺁﻟﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﺍﻟﻤﺪﻳﻨﺔ ﻭﻟﻬﻢ
ﻳﻮﻣﺎﻥ ﻳﻠﻌﺒﻮﻥ ﻓﻴﻬﻤﺎ ﻓﻘﺎﻝ : ﻣﺎ ﻫﺬﺍﻥ ﺍﻟﻴﻮﻣﺎﻥ؟ ﻗﺎﻟﻮﺍ:
ﻛﻨﺎ ﻧﻠﻌﺐ ﻓﻴﻬﻤﺎ ﻓﻲ ﺍﻟﺠﺎﻫﻠﻴﺔ، ﻓﻘﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ
ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﻋﻠﻰ ﺁﻟﻪ ﻭﺳﻠﻢ : ﺇﻥ ﺍﻟﻠﻪ ﻗﺪ ﺃﺑﺪﻟﻜﻢ ﺑﻬﻤﺎ
ﺧﻴﺮﺍ ﻣﻨﻬﻤﺎ: ﻳﻮﻡ ﺍﻷﺿﺤﻰ، ﻭﻳﻮﻡ ﺍﻟﻔﻄﺮ ـ ﻭﻟﻮ ﺃﻥ
ﺍﻷﻋﻴﺎﺩ ﻓﻲ ﺍﻹﺳﻼﻡ ﻛﺎﻧﺖ ﺗﺎﺑﻌﺔ ﻟﻠﻌﺎﺩﺍﺕ ﻷﺣﺪﺙ
ﺍﻟﻨﺎﺱ ﻟﻜﻞ ﺣﺪﺙ ﻋﻴﺪﺍ ﻭﻟﻢ ﻳﻜﻦ ﻟﻸﻋﻴﺎﺩ ﺍﻟﺸﺮﻋﻴﺔ
ﻛﺒﻴﺮ ﻓﺎﺋﺪﺓ . ﺍﻫـ .
ﻭﺑﺎﻟﺘﺤﺮﻳﻢ ﺃﻓﺘﻰ ﺍﻟﺸﻴﺦ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﻌﺰﻳﺰ ﺑﻦ ﺑﺎﺯ، ﻭﺍﻟﻠﺠﻨﺔ
ﺍﻟﺪﺍﺋﻤﺔ ﻟﻺﻓﺘﺎﺀ ﺑﺎﻟﻤﻤﻠﻜﺔ، ﻓﻼ ﻳُﻨﻘﺾ ﺍﻟﻘﻮﻝ ﺑﺘﺤﺮﻳﻢ
ﺃﻋﻴﺎﺩ ﺍﻟﻤﻴﻼﺩ ﺑﺈﺛﺒﺎﺕ ﻛﻮﻥ ﺃﻋﻴﺎﺩ ﺍﻟﻤﻴﻼﺩ ﻟﻴﺴﺖ ﺗﺸﺒﻬﺎ
ﺑﺎﻟﻜﻔﺎﺭ ـ ﻋﻠﻰ ﻓﺮﺽ ﺍﻟﺘﺴﻠﻴﻢ ﺑﻬﺬﺍ ـ ﻭﺍﻟﺬﻱ ﻧﻔﺘﻲ ﺑﻪ
ﻓﻲ ﺍﻟﺸﺒﻜﺔ ﺍﻹﺳﻼﻣﻴﺔ ﻫﻮ ﺍﻟﻘﻮﻝ ﺑﺘﺤﺮﻳﻢ ﺍﻻﺣﺘﻔﺎﻝ
ﺑﺄﻋﻴﺎﺩ ﺍﻟﻤﻴﻼﺩ،
ﻭﺍﻟﻠﻪ ﺃﻋﻠﻢ
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন