আজকের আলোচনা করব রোস্ট করা নিয়ে। তবে এটা কোন গতানুগতিক খাবারের রোস্ট নয়। আমরা যারা ইউটিউবের ভিডিও দেখি তাদের হয়ত এই রোস্টের অর্থ জানা থাকতে পারে। ইউটিউবে বর্তমানে হাজারো রোস্টিং ভিডিও তৈরী হচ্ছে। এই রোস্টিং ভিডিও নিয়ে হচ্ছে বকাবকি, হুমকা-হুমকি যাকে বলতে পারেন কাঁদা ছোঁড়াছুড়ি। এবার আসুন আগে জেনে নেই রোস্ট ভিডিও মানে কী? সাধারণত খাবার রোস্টে একটা প্রাণীকে যেমন বিভিন্ন মশলাসহযোগে সুস্বাদু করে খাবার উপযোগী করে তোলা হয়, তেমনি রোস্ট ভিডিওতে কোন ব্যক্তির দোষগুণ বর্ণনা করে সমালোচনামূলক ভিডিও তৈরী করা হয়। তবে এসব ভিডিওতে সাধারণ নেতিবাচক দিকগুলোকে প্রাধান্য দেয়া হয়ে থাকে বিধায় যার রোস্ট করা হয় তিনি এটা পরনিন্দা বা গীবত বলে আখ্যায়িত করেন। আর যিনি রোস্ট করেন তিনি বলেন এটা প্রতিবাদী পোস্ট বা জনসচেতনতামূলক পোস্ট।
রোস্ট ভিডিওতে প্রধান যে দিক থাকে তা হল অন্যের দোষ বা ভুল তুলে ধরা। যেমন কোন ইউটিউবার যদি অশ্লীল কন্টেন্ট ইউটিউবে প্রচার করে তাহলে তার এই কুকর্মগুলোই সাধারণত তুলে ধরা হয় রোস্ট ভিডিওতে। সেসব অশ্লীল ভিডিও এর মাধ্যমে কি কি ক্ষতি হচ্ছে তাও তুলে ধরা হয়। এখন প্রশ্ন কে বা কারা কেন করছে এই রোস্ট ভিডিও? এই রোস্ট ভিডিও বানানোর কী উদ্দেশ্য? একথা উত্তরে দুটো দিক আছে বলা যেতে পারে। প্রথমত দিক হল, এসব ভিডিও বানানো হয় ইউটিউবে অশ্লীলতার আস্ফালন বন্ধ করার জন্যে। যারা ইউটিউবে নোংরামি করে বেড়ায় তাদেরকে জনসম্মুখে তুলে ধরে তাদের নোংরামি বন্ধ করার প্রচেষ্টা করা। দ্বিতীয় দিক হল, পারস্পরিক শত্রুতার জের টেনে শুধুই মাত্র কাউকে ছোট করা বা ভিডিও এর ভিউস বাড়িয়ে টাকা ইনকাম করা।
এতক্ষণ আলোচনার পর এবার আসি এসব রোস্ট ভিডিও বানান জায়েয কিনা সেই প্রসংগে। রোস্ট ভিডিও যেই উদ্দেশ্যেই বানান হোক এর মধ্যে প্রধান দিক থাকে অন্যের সমালোচনা যাকে গীবত বলা হয়। গীবত জায়েয নয় একথা আমরা প্রায় সকলেই জানি। কিন্তু সব গীবতই কি নাজায়িয? না। ছয় প্রকারের গীবত এমন রয়েছে যাকে উলামায়ে কেরাম বৈধ গীবত বলে আখ্যায়িত করেছেন। সেগুলো হলঃ-
১- জুলুম থেকে নিচে বাঁচতে, অন্যকে বাঁচাতে। এমন ব্যক্তির কাছে গীবত করতে পারবে, যে একে প্রতিহত করতে পারবে।
২- খারাপ কাজ বন্ধ করার জন্য সাহায্য চাইতে এমন ব্যক্তির কাছে গীবত করতে পারবে যে তা বন্ধ করার ক্ষমতা রাখে।
৩- বিষয়টি সম্পর্কে শরয়ী সমাধান জানতে গীবত করে মূল বিষয় উপস্থাপন করা জায়েজ আছে। যেমন বলা যে, আমাকে অমুক ব্যক্তি আমার উপর জুলুম করেছে, তাই আমারও কি তাকে আঘাত করা জায়েজ আছে? ইত্যাদি
৪- সাধারণ মুসলমানদের দ্বীনী ও দুনিয়াবী ধোঁকা ও খারাবী থেকে বাঁচাতে গীবত করা জায়েজ। যেমন সাক্ষ্য সম্পর্কে, হাদীস, আসার ও ইতিহাস বর্ণনাকারী সম্পর্কে, লেখক, বক্তা ইত্যাদি সম্পর্কে দোষ জনসম্মুখে বলে দেয়া, যেন তার ধোঁকা ও মিথ্যাচার থেকে মানুষ বাঁচতে পারে।
৫- প্রাকাশ্যে যদি কেউ শরীয়তগর্হিত করে, তাহলে তার খারাবী বর্ণনা করা এমন ব্যক্তির কাছে যারা এর দ্বারা বিভ্রান্ত হওয়া থেকে বাঁচতে পারে। যেমন কেউ প্রকাশ্যে মদ খায়, তাহলে মানুষের সামনে তার সরাসরি বদনাম করা জায়েজ আছে। যেন এমন খারাপ কাজ করতে ভবিষ্যতে কেউ সাহস না করে।
৬- কারো পরিচয় প্রকাশ করতে। যেমন কেউ কানা। তার পরিচয় দেয়া দরকার। কিন্তু নাম কেউ চিনতেছে না। কিন্তু কানা বলতেই সবাই চিনে ফেলে। তখন কানা বলা বাহ্যিক দৃষ্টিতে গীবত হলেও এটা বলা জায়েজ আছে। এতে গীবতের গোনাহ হবে না।
( বিস্তারিত দেখুনঃ তাফসীরে রুহুল মাআনী- ১৪/২৪২, সূরা হুজরাত-১২, বুখারী শরীফ হাদীস নং ৫০৬১, মুসলিম শরীফ হাদিস নং ৩৩১৯, আবু দাউদ শরীফ, হাদিস নং ২৫২০, তিরমিযী শরীফ হাদীস নং ২০৫৯)
উপরোক্ত আলোচনা দ্বারা বুঝা গেল, রোস্ট ভিডিও যদি খারাপ কাজ থেকে বাঁচানোর জন্যে, খারাপ কাজ বন্ধ করার উদ্দেশ্যে বা মানুষকে বিভ্রান্ত ও ধোঁকাবাজদের প্রতি সচেতন করার উদ্দেশ্যে হয়ে থাকে তাহলে তা জায়েয আছে। আর যদি প্রতিশোধমূলক ভিন্ন উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্যে হয় তাহলে জায়েয নেই।
রোস্ট ভিডিওতে প্রধান যে দিক থাকে তা হল অন্যের দোষ বা ভুল তুলে ধরা। যেমন কোন ইউটিউবার যদি অশ্লীল কন্টেন্ট ইউটিউবে প্রচার করে তাহলে তার এই কুকর্মগুলোই সাধারণত তুলে ধরা হয় রোস্ট ভিডিওতে। সেসব অশ্লীল ভিডিও এর মাধ্যমে কি কি ক্ষতি হচ্ছে তাও তুলে ধরা হয়। এখন প্রশ্ন কে বা কারা কেন করছে এই রোস্ট ভিডিও? এই রোস্ট ভিডিও বানানোর কী উদ্দেশ্য? একথা উত্তরে দুটো দিক আছে বলা যেতে পারে। প্রথমত দিক হল, এসব ভিডিও বানানো হয় ইউটিউবে অশ্লীলতার আস্ফালন বন্ধ করার জন্যে। যারা ইউটিউবে নোংরামি করে বেড়ায় তাদেরকে জনসম্মুখে তুলে ধরে তাদের নোংরামি বন্ধ করার প্রচেষ্টা করা। দ্বিতীয় দিক হল, পারস্পরিক শত্রুতার জের টেনে শুধুই মাত্র কাউকে ছোট করা বা ভিডিও এর ভিউস বাড়িয়ে টাকা ইনকাম করা।
এতক্ষণ আলোচনার পর এবার আসি এসব রোস্ট ভিডিও বানান জায়েয কিনা সেই প্রসংগে। রোস্ট ভিডিও যেই উদ্দেশ্যেই বানান হোক এর মধ্যে প্রধান দিক থাকে অন্যের সমালোচনা যাকে গীবত বলা হয়। গীবত জায়েয নয় একথা আমরা প্রায় সকলেই জানি। কিন্তু সব গীবতই কি নাজায়িয? না। ছয় প্রকারের গীবত এমন রয়েছে যাকে উলামায়ে কেরাম বৈধ গীবত বলে আখ্যায়িত করেছেন। সেগুলো হলঃ-
১- জুলুম থেকে নিচে বাঁচতে, অন্যকে বাঁচাতে। এমন ব্যক্তির কাছে গীবত করতে পারবে, যে একে প্রতিহত করতে পারবে।
২- খারাপ কাজ বন্ধ করার জন্য সাহায্য চাইতে এমন ব্যক্তির কাছে গীবত করতে পারবে যে তা বন্ধ করার ক্ষমতা রাখে।
৩- বিষয়টি সম্পর্কে শরয়ী সমাধান জানতে গীবত করে মূল বিষয় উপস্থাপন করা জায়েজ আছে। যেমন বলা যে, আমাকে অমুক ব্যক্তি আমার উপর জুলুম করেছে, তাই আমারও কি তাকে আঘাত করা জায়েজ আছে? ইত্যাদি
৪- সাধারণ মুসলমানদের দ্বীনী ও দুনিয়াবী ধোঁকা ও খারাবী থেকে বাঁচাতে গীবত করা জায়েজ। যেমন সাক্ষ্য সম্পর্কে, হাদীস, আসার ও ইতিহাস বর্ণনাকারী সম্পর্কে, লেখক, বক্তা ইত্যাদি সম্পর্কে দোষ জনসম্মুখে বলে দেয়া, যেন তার ধোঁকা ও মিথ্যাচার থেকে মানুষ বাঁচতে পারে।
৫- প্রাকাশ্যে যদি কেউ শরীয়তগর্হিত করে, তাহলে তার খারাবী বর্ণনা করা এমন ব্যক্তির কাছে যারা এর দ্বারা বিভ্রান্ত হওয়া থেকে বাঁচতে পারে। যেমন কেউ প্রকাশ্যে মদ খায়, তাহলে মানুষের সামনে তার সরাসরি বদনাম করা জায়েজ আছে। যেন এমন খারাপ কাজ করতে ভবিষ্যতে কেউ সাহস না করে।
৬- কারো পরিচয় প্রকাশ করতে। যেমন কেউ কানা। তার পরিচয় দেয়া দরকার। কিন্তু নাম কেউ চিনতেছে না। কিন্তু কানা বলতেই সবাই চিনে ফেলে। তখন কানা বলা বাহ্যিক দৃষ্টিতে গীবত হলেও এটা বলা জায়েজ আছে। এতে গীবতের গোনাহ হবে না।
( বিস্তারিত দেখুনঃ তাফসীরে রুহুল মাআনী- ১৪/২৪২, সূরা হুজরাত-১২, বুখারী শরীফ হাদীস নং ৫০৬১, মুসলিম শরীফ হাদিস নং ৩৩১৯, আবু দাউদ শরীফ, হাদিস নং ২৫২০, তিরমিযী শরীফ হাদীস নং ২০৫৯)
উপরোক্ত আলোচনা দ্বারা বুঝা গেল, রোস্ট ভিডিও যদি খারাপ কাজ থেকে বাঁচানোর জন্যে, খারাপ কাজ বন্ধ করার উদ্দেশ্যে বা মানুষকে বিভ্রান্ত ও ধোঁকাবাজদের প্রতি সচেতন করার উদ্দেশ্যে হয়ে থাকে তাহলে তা জায়েয আছে। আর যদি প্রতিশোধমূলক ভিন্ন উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্যে হয় তাহলে জায়েয নেই।
খুব ভালো লিখেছেন। ধন্যবাদ ভাই আপনাকে। অনেক কিছুই জানতে পারলাম। আপনি আরো লিখে যান ভাই
উত্তরমুছুনশুকরিয়া ভাই
মুছুনthat's good
উত্তরমুছুনso good
উত্তরমুছুনhttps://youtu.be/awLeINd9ILI
উত্তরমুছুনআমাদের ভিডিও দেখে আসতে পারেন