জৈন্তাপুরের ভণ্ড মাজারপূঁজারিরা যে অপরাধ করেছে তাতে তারা অবশ্যই শাস্তিযোগ্য। যেসব ভণ্ড চামারদের হাতে জৈন্তাপুরের মাটি হাফেজ ও আলেমের রক্তে রঞ্জিত হয়েছে তাদের যথাযথ বিচার অবশ্যই সমস্ত মুসলমানের প্রাণের দাবী। যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী নিজ মুখে বলেছিলেন, কওমী শিক্ষার্থীরা দেশের উজ্জ্বল সম্পদ। যখন দেশের সেই মহামূল্যবান সম্পদ গুটিকয়েক পঞ্চরস ভক্ষণকারী পশুরূপী অমানুষের হাতে স্তিমিতপ্রাণ হয়েছে। তখন তো এর যথাবিহিত বিচার অবশ্যই করণীয়। একজন হাফিজে কুরআন ও হাদীসের দরসে নিয়মিত বরকত অর্জনকারী বন্ধু যখন চোখের সামনে কিছু গুণ্ডার হাতে শহীদ হলেন, তখন তার রক্তের প্রতি ফোঁটার হিসেব আদায় করা অবশ্যই বাংলার কওমী যুবাদের জন্যে অপরিহার্য কাজ। এখানে কাজ করে এক মায়ের খালি বুকের আর্তনাদ। এখানে প্রতিক্রিয়াশীল এক বাবার শূন্য বুকের হাহাকার। এখানে জড়িয়ে আছে একাকী ছোট্ট বোনের স্মৃতিময় আবেগ। এতকিছুর ফলে মন চাইবে গুঁড়িয়ে দেই ভণ্ডদের আস্তানা। মন চাইবে ভাণ্ডারীর যাকে পাই তাকেই কচু কাটা করি, কিন্তু তা কি ঠিক হবে? হত্যার কাজে যে জড়িত নয় তার ক্ষতি করা কতটুকু শরীয়তসম্মত? হ্যাঁ, এ পরিস্থিতিতে বাছ বিচার না করে, দোষী আর নির্দোষী না দেখে শুধুমাত্র মতাদর্শের কারণে নির্দোষীকে ক্ষতি পৌঁছান আমার মনে হয় এটা আসাবিয়্যাতের ( সাম্প্রদায়িকতার) শামিল হয়ে যায়। হিন্দু মুসলিম দাঙ্গায় যেমন ঘটে। দোষ করে গুটি কয়েক মুসলমান/হিন্দু, যার ফলাফল পেতে হয় লক্ষ নিরাপরাধ নিরহ মুসলমান/হিন্দুর রক্তের বিনিময়ে। যদি তাই হয় তবে তো এখানেও নিরাপরাধ ব্যক্তিদেরকে ক্ষতিসাধন করা থেকে আমাদের বেঁচে থাকা অত্যন্ত জরুরী। কেননা অন্যান্য মতাদর্শের মত ইসলামেও সাম্প্রদায়িকতা থেকে বেঁচে থাকার আদেশ প্রদান করা হয়েছে। যেমন সুনানে আবু দাউদের এক বর্ণনায় আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি মানুষকে আসাবিয়্যাত (সাম্প্রদায়িকতা)-এর দিকে আহবান করবে (অর্থাৎ অন্যায় কাজে নিজ দল, গোত্র, জাতিকে সাহায্য করতে বলবে) সে আমাদের (মুসলমানদের) দলভুক্ত নয়। যে এমন সাম্প্রদায়িকতার কারণে মৃত্যুবরণ করবে সেও আমাদের দলভুক্ত নয়। (সুনানে আবু দাউদ, হাদীস : ৫০৮০)
এজন্যে জৈন্তাপুরের ঘটনায় যারা দোষী তাদের অবশ্যই শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে এবং সর্বোচ্চ সাজা প্রদানের জন্যেও জোর আন্দোলন ও আহবান করতে হবে এবং তা আমরা অবশ্যই করব। সেই সাথে এসব বেয়াদব ভন্ডদের আস্ফালন এদেশের মাটিতে আর দ্বিতীয় বার হতে দেওয়া যাবে না তার জন্যে দুর্বার প্রতিরোধ গড়ে তুলব। কিন্তু সাথে সাথে এই খেয়াল অবশ্যই থাকতে যেন, আমাদের দ্বারা নিরাপরাধ ব্যক্তিরা কষ্ট না পান। আল্লাহ আমাদেরকে হেফাজত করুন ও জালিমদেরকে উপযুক্ত শাস্তি দান করুন।
এজন্যে জৈন্তাপুরের ঘটনায় যারা দোষী তাদের অবশ্যই শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে এবং সর্বোচ্চ সাজা প্রদানের জন্যেও জোর আন্দোলন ও আহবান করতে হবে এবং তা আমরা অবশ্যই করব। সেই সাথে এসব বেয়াদব ভন্ডদের আস্ফালন এদেশের মাটিতে আর দ্বিতীয় বার হতে দেওয়া যাবে না তার জন্যে দুর্বার প্রতিরোধ গড়ে তুলব। কিন্তু সাথে সাথে এই খেয়াল অবশ্যই থাকতে যেন, আমাদের দ্বারা নিরাপরাধ ব্যক্তিরা কষ্ট না পান। আল্লাহ আমাদেরকে হেফাজত করুন ও জালিমদেরকে উপযুক্ত শাস্তি দান করুন।
এরকমভাবে কেউ ভাবে না। তবে আপনার ভাবনা অনেক ভাল।
উত্তরমুছুন