সংসারে শান্তি চাইলে যে গুণ অর্জন করা দরকার

কিছু বাস্তব চরিত্র। যা আমাদের কমবেশী সবাইয়ের মাঝে রয়েছে।

★ নিজের মেয়ে- শ্বশুরবাড়িতে সুখে থাকলে মনটা বড়ই শান্তি পায়। 
কিন্তু বৌমা শ্বশুরবাড়িতে খুশিতে থাকলে অনেকের মনেই কেমন যেন একটা কষ্ট হয়।

★ জামাই মেয়ের সাহায্য করলে বলি কপাল গুণে এমন জামাই পেলাম। 
কিন্তু ছেলে বৌমাকে সাহায্য করলে বলি ওটা তো আস্ত একটা বৌয়ের গোলাম।

★ মেয়ে মেকআপ করলে মনে হয় - আহা কি সুন্দর মুখ যেনো চাঁদখানা। 
কিন্তু বৌমা সামান্য সাজলে মনে হয় - ঢং আর আস্ত বেহায়াপনা।

★ মেয়েকে শ্বশুরবাড়িতে একা কাজ করতে হলে কষ্ট পেয়ে বলে উঠি "আমার মেয়েটা তো অসুস্থ হয়ে পড়বে"। 
কিন্তু বৌমা সারাদিন একা একা কাজ করলে, তবুও তাকে বলি ফাঁকিবাজ ও আলসে।

★ মেয়ের শাশুড়ি আর ননদ মেয়ের কাজে সাহায্য না করলে রাগ হয়। 
কিন্তু নিজের বাড়িতে আমরা বৌমার কাজে সাহায্য না করলেও সেটা ঠিক মনে হয়।

★ মেয়েকে রাণী করে রাখবে - চাই তার এমন শ্বশুরবাড়ি ! 
কিন্তু নিজেদের চাই এমন বৌমা - যে হবে চাকরানী।

★★ এমন কালচার থেকে বেরিয়ে অাসতে হবে সকল মা বাবাকে। মেয়ে যেমন অাপনার অাদরের পুতুল তেমনি ছেলেবউ কোন পিতা-মাতার অাদরের রত্ন। সেও এমন আদর পাওয়ার অধিকার রাখে। দেশের প্রচলিত এ কালচার যতদিন না পরিবর্তন হবে ততদিন সংসারে শান্তি নামের সোনার হরিণ দেখা অসম্ভব।