সোমবার, ৩০ এপ্রিল, ২০১৮

সৌদির পরিবর্তনের নেপথ্যে : আমাদের করণীয়

মুহাম্মাদ বিন সালমান। বর্তমান সৌদির ক্রাউন প্রিন্স ও উপপ্রধানমন্ত্রী। আধুনিক সৌদির জনক আবদুল আজিজ ইবনে সৌদ এর সন্তান সংখ্যা ছিলো প্রায় একশত এবং তাদের মধ্যে ৪৫ জন ছেলে। ছেলেদের মধ্যে পঁচিশতম সন্তান বর্তমান সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজের বড় সন্তান হলেন এই ক্রাউন প্রিন্স মুহাম্মাদ বিন সালমান।

২০১৭ সালে তৎকালীন ক্রাউন প্রিন্স বর্তমান বাদশাহ সালমানের ভ্রাতুষ্পুত্র মুহাম্মাদ বিন নায়েফকে অপসারিত করে আপন ছেলে মুহাম্মাদকে সৌদির ক্রাউন প্রিন্স হিসেবে ঘোষণা করেন, আর সেই থেকেই সৌদিতে পরিবর্তনের হাওয়া বইতে শুরু করে। প্রথম প্রথম আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকগণ এটাকে বসন্তের পরিবর্তনের হাওয়া নামে অভিহিত করলেও ধীরে ধীরে তা বাংলার বৈশাখী ঝড়ো হাওয়ায় রূপান্তর হয়েছে তা স্পষ্ট। সে হাওয়া কেবল কিছু গতানুগতিক কথিত নারী পরাধীনতার দেয়াল ভেঙ্গেই ক্ষান্ত হয়নি, বরং ধর্মীয় মূল্যবোধ ও ইসলামী সংস্কৃতির মহীরুহও জড়সহ উপড়ে ফেলার কাজে ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়েছে। রক্ষণশীল একটা দেশ যা দীর্ঘদিন ধরে সারা পৃথিবীর সাংস্কৃতিক পরিবর্তন থেকে নিজেকে সরিয়ে রেখেছে, দুই শতক ধরে যে দেশে ইসলামী সভ্যতা ও কালচার-ই প্রধান ও জাতীয় কালচার হিসেবে স্থান পেয়েছে, এখন হঠাৎ কোন কারণে সৌদিকে আমূল পরিবর্তন হতে হচ্ছে? এর উত্তর জানার আগে দুইটা বিষয় জানতে হবে। প্রথমতঃ সৌদিতে কোন ধরণের পরিবর্তনের ধারা চালু হয়েছে তা আর এটা হৃদয়ঙ্গম করতে পারলেই দ্বিতীয় বিষয় 'কেন এই পরিবর্তন' তা অনেকটা স্পষ্ট হয়ে উঠবে।

সৌদিতে মুহাম্মাদ বিন সালমানকে ক্রাউন প্রিন্স ঘোষণার পর থেকে প্রধান প্রধান যে পরিবর্তন হয়েছে তার কিছু নিম্নরূপঃ-

১. নারী ক্ষমতায়ন হিসেবে নারীর ড্রাইভিং বৈধতা, গ্যালারীতে বসে খেলা দেখার স্বাধীনতা, রেড সি'তে পর্যটকদের জন্য বিলাসবহুল আবাসনের ব্যবস্থা, যার অর্থ হচ্ছে নারীরা সেখানে বিকিনি পরতে পারবেন।

২. রেড সিতে পর্যকটদের সুবিধার জন্যে আরেকটি উন্নয়ন হলো উন্মুক্ত বিয়ার বার। বাংলা ভাষায় মদের খোলা দোকানের ব্যবস্থা।

৩. ক্রাউনপ্রিন্স ও মসজিদুল হারামের সাবেক তারাবীহ ইমাম, সৌদি দায়ী শায়েখ আদিল আল-কালবানী কর্তৃক আনুষ্ঠানিকভাবে তাশ খেলার অনুমতি প্রদান এবং তাশ চ্যাম্পিয়ানশিপদের মাঝে তাশ কার্ড বিতরণ করা।

৪. ক্রাউন প্রিন্সের 'ভিশন ২০৩০' এর অনুযায়ী সৌদির বিনোদন খাতকে সমৃদ্ধ করতে রাজধানী রিয়াদের কিং আবদুল্লাহ ফিন্যান্সিয়াল জেলায় গানের কনর্সাটের জন্য বানানো একটি হলে প্রথমে "ব্লাক প্যানথার" নামক সিনেমা প্রদর্শন করা। সেই সাথে এবার গ্রীষ্মেই আরও তিনটি পর্দা যুক্ত করা এবং আগামী পাঁচ বছরে ১৫টি শহরে ৪০টি ও পরের সাত বছরে ২৫টি শহরে ৫০ থেকে একশটি সিনেমা হল নির্মাণ করা।

৫. আরব-ইসরাইল যুদ্ধে আরবদের শোচনীয় পরাজয়ের পর থেকে সৌদি ইসরাইলকে গাসেব বা অবৈধ রাষ্ট্র দখলকারী আখ্যা দিয়ে আসছিল৷ কিন্তু, এখন প্রকাশ্যভাবে ইসরাইলের নিজ ভূমির মালিকানার স্বীকৃতি দিচ্ছে। অতিসম্প্রতি ক্রাউন প্রিন্স বৃটেন সফর করেন৷ দ্যা আটলান্ট্রিক নামক এক ইন্টারভিউতে (সাক্ষাৎকার)তিনি ইসরাইলের স্ব-ভূমির মালিকানার কথা স্পষ্টভাবে স্বীকার করেন৷

৬. দূর্নীতির অভিযোগে আল-ওয়ালিদ বিন তালাল সহ বেশকিছু ধনকুবের রাজকুমারদের বন্দি করা। পরবর্তীতে তাদের উপর কিছু বিধি-নিষেধ জারি করে চড়া মূল্যের বিনিময়ে তাদেরকে মুক্তি দেয়া। ইত্যাদি।

উপরিউক্ত নাটকীয় পরিবর্তনগুলো লক্ষ করলে এবং ভাতিজাকে অপসারণ করে নিজ ছেলেকে ক্রাউন প্রিন্স ঘোষণার প্রতি খেয়াল করলে বুঝা যায়, ভিশন-২০৩০ এর দ্বারা সৌদি প্রিন্সের বুলি অর্থনৈতিক ব্যবস্থার সমৃদ্ধকরণ ও রক্ষণশীল ধর্মচর্চায় পরির্তন আনয়ন হলেও সমালোচকরা এটাকে নিজের ক্ষমতা কুক্ষিগত করা ও একনায়কতন্ত্র স্থাপনের নেহাত প্রচেষ্টা ছাড়া ভিন্ন কিছুই দেখছেন না। ইসরাইলকে স্বভূমির মালিক ঘোষণা করে সৌদি ক্রাউন প্রিন্স কেবল ইসরাইল, পশ্চিমা দেশসমূহ ও কিছু আরব দেশের খুব ঘনিষ্টতা অর্জন করার প্রচেষ্টাই করছেন। যা তার পরবর্তি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলে প্লাস পয়েন্ট হিসেবে কাজ করবে। নারী ক্ষমতায়ন,  অর্থনৈতিক সংস্করণ ও বিনোদন শিল্প সমৃদ্ধির দ্বারা পরিবর্তন মননশীল সাধারণ সৌদি নাগরিকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে রাখছেন। যা তার একনায়কতন্ত্র কায়েমে বিরাট ভূমিকা রাখতেই পারে।

সৌদি আরবে পরিবর্তনের কারণ আরো পরিষ্কার বুঝতে হলে সামান্য পেছনের কিছু ইতিহাসের দিকে ঘুরে তাকাতে হবে।
আজিজ আল সউদ ১৯০২ সাল থেকে প্রতিষ্ঠা করতে শুরু করেন তৃতীয় সৌদি রাজত্ব। ১৯৫৩ সালে তার মৃত্যুর আগে এই রাজত্ব তিনি সম্প্রসারিত করেন পারস্য উপসাগর থেকে লোহিত সাগর এবং ইরাক থেকে ইয়েমেন পর্যন্ত। পূর্বেই উল্লেখ হয়েছে যে  এই বাদশাহর ছিলো ৪৫ জন পুত্রসন্তান। তিনি চাইছিলেন ক্ষমতা একজনের হাত থেকে আরেকজনের হাতে ঘুরতে থাকবে। তখন তারা একেকজন একেক গোষ্ঠীর নেতা হয়ে উঠলেন।

তাদের ক্ষমতার মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখারও ব্যবস্থা ছিলো তখন। একারণে বিভিন্ন বিষয়ে ক্ষমতা তাদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হয়েছিলো। এভাবেই চলে আসছিলো দশকের পর দশক। খুব ধীর গতিতে কিছু পরিবর্তনও ঘটছিলো। এসবের বেশিরভাগই ছিলো স্থিতিশীল।

সৌদি আরবের এখনকার বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ। তার ভাইদের বেশিরভাগই ইতোমধ্যে মারা গেছেন। ফলে বোঝাই যাচ্ছে যে রাজত্ব এখন পরবর্তী প্রজন্মের কাছে হস্তান্তরের সময় চলে এসেছে। বাদশাহর ভাতিজা মোহাম্মদ বিন নায়েফ ২০১৫ সালে হলেন নতুন যুবরাজ। ফলে এটা নিশ্চিত হয়ে যায় যে সিংহাসন আল-সউদ রাজ পরিবারের ভিন্ন শাখার দিকে প্রবাহিত হতে চলেছে।

অসুস্থ ও বয়োবৃদ্ধ বাদশাহ সালমান তখন তার উচ্চাকাঙ্ক্ষী সন্তান মুহাম্মাদকে তড়িঘড়ি করে ডেপুটি যুবরাজ হিসেবে ঘোষণা করেন। এর দু'বছরের মধ্যেই মোহাম্মদ বিন নায়েফকে উৎখাত করেন বাদশাহ সালমান। এরপর সিংহাসনের উত্তরাধিকারী হয়ে উঠেন তারই ছেলে মোহাম্মদ বিন সালমান। ফলে এই রাজ পরিবারে যেভাবে সিংহাসনের উত্তরাধিকারের পরিবর্তন হয়ে আসছিলো সেই প্রথা ভেঙে যায়।

এরপরই বদলে যেতে শুরু করে সবকিছু। নতুন যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান রাতারাতি তার প্রতিদ্বন্ধীদের আটক করে জেলে ভরতে শুরু করেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন অত্যন্ত বিত্তশালী ব্যবসায়ীরা। এমনকি ন্যাশনাল গার্ডের প্রধানও। সব ক্ষমতা চলে আসলো এক ব্যক্তির হাতের মুঠোয় যা সৌদি রাজ-পরিবারে কখনো ছিলো না। (তথ্যসূত্র: বিবিসি)

সৌদির পরিবর্তনে আমাদের করনীয়ঃ

উপরিউক্ত আলোচনায় বুঝে আসে সৌদির এত ব্যাপক পরিবর্তন-পরিবর্ধন আট দশটা দেশের মতই রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্যে। এ হিসেবে আট দশটা দেশের রাজনৈতিক সমস্যার মতই আমাদের গ্রহণ করা দরকার ছিলো। কিন্তু সৌদির এসব পরিবর্তনকে নিছক রাজনৈতিক পরিবর্তন হিসেবে মানতে  প্রধান বাঁধার বিষয় হচ্ছে দেশটা সৌদি আরব। এটা এমন দেশ যেখানে সাইয়েদুল আম্বিয়া দোজাহানের মুক্তির দিশারী জন্মগ্রহণ করেছেন। যেদেশের মানুষগুলো বুকের তাজা রক্ত বিলিয়ে ইসলামের বাণী দিকে দিকে প্রচার করেছে। যাদের ত্যাগের বিনিময়ে সূর্যোদয়ের দেশসহ সুর্যাস্তের দেশে আল্লাহর কালাম গুঞ্জরিত হয়। ইসলামের দুই মহাপবিত্র মসজিদ যে দেশের ভূমিতে অবস্থিত। যে দেশের মাটিতে শুয়ে আছে উম্মতের কাণ্ডারি দয়ার নবী জ্বনাব মুহাম্মাদে আরাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।

এসকল কারণে স্বভাবতই আরবের সাথে বিশ্ব মুসলিমের মুহাব্বত ও ধর্মীয় বিশ্বাস ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। এছাড়াও আরব জাতি হিসেবে আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে বিশেষ মর্যাদাও দান করেছেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন,
عن أبي هريرة قال قال رسول الله  صلى الله عليه وسلم: إن الله حين خلق الخلق بعث جبريل، فقسم الناس قسمين، فقسم العرب قسما، وقسم العجم قسما، وكانت خيرة الله في العرب، ثم قسم العرب قسمين، فقسم اليمن قسما، وقسم مضر قسما، وقسم قريشا قسما، وكانت خيرة الله في قريش، ثم أخرجني من خير ما أنا منه . قال الهيتمي في مبلغ الأرب : سنده حسن

অর্থঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, আল্লাহ তায়াল যখন মাখলুকাত সৃষ্টি করলেন হযরত জিবরীল আলাইহিস সালামকে প্রেরণ করলেন। তিনি সমস্ত মানুষকে আরব ও অনারব হিসেবে দুইভাগে বিভক্ত করলেন। আর আল্লাহর বাছাই উদ্দেশ্য ছিলো আরবের মাঝে। অতঃপর আরবকে বিভক্ত করলেন। য়ামানকে একভাগে পরিণত করলেন, মুযারকে এক ভাগে ও কুরাইশকে একভাগ বানালেন। অতঃপর আমাকে আমার স্বজাতির উত্তম ভাগ থেকে প্রেরণ করলেন। (তাবরানী, হাদীস নং- ৩৯২৮)

অন্যত্র রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
عن سلمان قال قال لي رسول الله صلى الله عليه وسلم:  يا سلمان؛ لا تبغضني فتفارق دينك. قلت: يا رسول الله كيف أبغضك وبك هدانا الله! قال: تبغض العرب فتبغضني قال: هذا حديث حسن غريب  وقال الحاكم: هذا حديث صحيح الإسناد ولم يخرجاه

অর্থঃ হযরত সালমান রাজিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমাকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, "হে সালমান! তুমি আমার সাথে বিদ্বেষ পোষণ করো না। নচেৎ তুমি তোমার দীনকে বিচ্ছিন্ন করে দিবে।" আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! কীভাবে আমি আপনার সাথে বিদ্বেষ পোষণ করবো? অথচ আপনার মাধ্যমেই আল্লাহ আমাদেরকে হেদায়েত দান করেছেন। তিনি বললেন, "আরবের সাথে বিদ্বেষ পোষণ করাই হলো আমার সাথে বিদ্বেষ পোষণ করা।" ( তিরমিযী শরীফ, হাদীস নং ৩৮৯২, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং ২৩০৯৯, আল মুস্তাদরাক, হাদীস নং ৭০৬৩, মুসনাদে বাযযার, হাদীদ নং ২২২৪)

আরবদের ফজলতের ব্যাপারে এরকম আরো কিছু রিওয়ায়েত বর্ণিত আছে যার ভিত্তিতে অন্যান্য জাতির উপর আরবের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণিত হয়। তাই সেই আরবে গায়ে এমন দুঃখজনক পরিবর্তন অন্য সকল মুসলমানের অন্তরে কুঠারাঘাত একটু বেশিই করে। আল্লাহ তায়ালা আরবের অবস্থা খুব দ্রুত সংশোধন করে দিন। পরিবর্তনশীল আরবের ব্যাপারে আমাদের মনোভাব কী থাকবে এব্যাপারে আল্লামা ইবনে বাযের নিম্নোক্ত ফাতাওয়া থেকে ধারণা নিতে পারি। শায়খ বলেন,
ثم العرب لهم مزية من جهة أنهم رهط النبي ﷺ، وأن الله بعثه فيهم وبعثه بلسانهم، فلهم مزية من هذه الحيثية أنهم حملوا الإسلام وهم رهط النبي ﷺ، وهم أول من حمل الإسلام ونشره بين الناس فلهم مزية ولهم حق من هذه الحيثية............... أما العرب الكفار لا، لا حق لهم في هذا، وهكذا العجم الكفار لا حق لهم في هذا، إنما هذا في العرب الذين تحملوا الإسلام ونشروه بين الناس وعلموه الناس وجاهدوا في سبيل الله حتى دخل الناس في دين الله أفواجاً، فلهم مزية

অর্থঃ "আর আরবের ফজিলত হলো এই হিসেবে যে তারা নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাই ওয়া সাল্লামে গোত্র। আল্লাহ পাক তাঁকে তাদের বংশে তাদের ভাষায় প্রেরণ করেছেন। আবার একারণেও তাদের ফজিলত রয়েছে যে, তারাই সর্বোপ্রথম দীনের সংরক্ষণ ও প্রচার প্রসার করেছেন।.....
আর আরব কাফেরদের বেলায়? না, এই ফজিলতের বেলায় তাদের কোন অধিকার নেই। যেমন অনারব কাফেরদের জন্যে এই ফজিলত নেই। এটা হলো ঐসকল আরবদের ব্যাপারে যারা ইসলামের সংরক্ষণ করেন। প্রচার প্রসার করেন। আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করেন।" (ফাতাওয়ায়ে ইবন বায)

এই ফাতাওয়ার ভিত্তিতে আমরা বলবো, আরবদের মধ্যে যারা ইসলাম ও মুসলমানের জন্যে কল্যাণকর কাজ আঞ্জাম দিবেন তারা আমাদের মাথার মুকুট হয়ে রইবেন আর যারা ইসলাম বিদ্বেষী কাজ কর্ম চালিয়ে যাবেন, হোক না সে আরব; আমরা প্রথমে তার ব্যাপারে আল্লাহর কাছে হেদায়েতের দুয়া করবো। হেদায়েত নসীবে না থাকলে এমন সাইয়েদের কামনা করবো যার নেতৃত্বে আরব ও আজমে ইসলামের বাণী সুরক্ষিত ও সুউচ্চ থাকবে।

৩০০৪১৮, সিরাজগঞ্জ

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নাভীর নীচের অবাঞ্ছিত লোমের সীমানা

নাভীর নীচের অবাঞ্ছিত লোমের সীমানা হলো : পায়ের পাতার উপর ভর করে বসা অবস্থায় নাভী থেকে চার পাঁচ আঙ্গুল পরিমাণ নীচে যে ভাঁজ বা রেখা সৃষ্টি হয় ...