সাবধান ! আপনার শিশু ১লা এপ্রিল থেকে ১ সপ্তাহ স্কুলে গিয়ে কি ঔষধ খাচ্ছে তার খবর নিন।
কারণ ১লা এপ্রিল থেকে ১ সপ্তাহ স্কুলগুলোতে কৃমিসপ্তাহ উপলক্ষে ৪ কোটি ৬ লক্ষ শিশুকে ফ্রি কৃমির ওষুধ খাওয়ানো হবে।(https://bit.ly/2E9DY5U) বিদেশী এনজিওদের দেয়া এসব ফ্রি ওষুধ যাচাই না করে ঠেলে দেয়া হচ্ছে আপনার বাচ্চার মুখে।
উল্লেখ্য ২০১৬ সালে এই কৃমির ওষধ খেয়ে হাজার হাজার শিশু হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলো। দেখতে পারেন
১) অনুদানে পাওয়া কৃমিনাশক খেয়ে হাজার হাজার শিশু হাসপাতালে : http://bit.ly/2lG5lka
২) কৃমি নাশক ট্যাবলেট খেয়ে প্রায় দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী অসুস্থ : http://bit.ly/2z6iAOe,
৩) ঝিনাইদহে কৃমি নাশক ট্যাবলেট খেয়ে পাচ শতাধিক শিক্ষার্থী হাসপাতালে : https://bit.ly/2iVtwKh
মূলত : এসব ফ্রি প্রোগ্রামিং এর আড়ালে সম্রাজ্যবাদীরা তৃতীয় বিশ্বের জনগণের শরীরকে গিনিপিগ বানিয়ে বিভিন্ন ঔষধের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালায়। এই পরীক্ষা-নিরীক্ষার সময় বিষক্রিয়ার ঘটনা ঘটতে পারে।
আবার অনেক সময় সম্রাজ্যবাদীরা সময় এসব ফ্রি ঔষধের মাধ্যমে জীবাণু অস্ত্রেরও পরীক্ষা চালায়। সেই ক্ষতিকারণ জীবাণুর বিষক্রিয়ায় এমনটা ঘটতে পারে। দ্য টাইমস পত্রিকায় ১১ই মে ১৯৮৭ সালে একটি রিপোর্ট---
“বিশ্ব পোলিও নির্মূলকর্মসূচিতে (যা পরিচালিত হয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ইউনিসেফ, রোটারিইন্টারন্যাশনাল এবং সেন্টারস অব ডিজিজ কন্ট্রোল) আফ্রিকার ২২ দেশের ৭৪মিলিয়ন মানুষকে ভ্যাকসিন দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। কিন্তু উক্ত ভ্যাকসিন নিয়ে বিতর্ক দেখা দিলে তা পরীক্ষার জন্য নেয়া হয় নাইজেরিয়ার পরীক্ষাগারে।সেই সময় গবেষণায় রেরিয়ে আসে ভয়ঙ্কর এক ফলাফল। ল্যাবরেটরি টেস্টে দেখা যায়, ওই পোলিও ভ্যাকসিনে এস্ট্রোজেন সহ অন্যান্য নারী হরমোন বিদ্যমান, যা ব্যবহারে পুরুষের বন্ধ্যাত্ব সৃষ্টি করবে।”
এগুলো অবশ্য এমনি এমনি সম্ভব হয় না। দুর্নীতিগ্রস্ত বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগকে টাকা দিয়ে এসব ওষধ প্রবেশ করানো হয়। আর সামান্য টাকার লোভে সরকারী কর্মকর্তারা কোটি কোটি শিশুকে ঠেলে দেয় ক্ষতির মুখে। আফ্রিকার রাষ্ট্রগুলোতে ফ্রি-ঔষধের নামে জীবাণু অস্ত্রের কার্যক্রমের কারণে আজ এইডস, ইবোলা, বার্ড-ফ্লু গণহারে ছড়িয়ে পড়েছে।
আমার এ পোস্ট যারা পড়বেন, তাদের প্রত্যেককে অনুরোধ করবো,
আপনারা আপনাদের আদরের সন্তান, আত্মীয় স্বজন, বন্ধু-বান্ধবের সন্তানদের সচেতন করুন। তারা যেন আগামী এক সপ্তাহ স্কুলে গিয়ে কোন ধরনের ঔষধ না খায়। খেয়াল রাখবেন, স্কুলে স্কুলে শিক্ষকরা জোর করে বলবে ওষুধ খেতে, বন্ধু-বান্ধবিরা বলবে- “চল দোস্ত, আমি খাচ্ছি তুইও খা। সমস্যা নেই।” এভাবে ভুলিয়ে ভালিয়ে আপনার আদরের সন্তানের মুখে বিষ দেয়া হবে। আপনার সন্তানের কৃমি হতে পারে, তবে সেটার জন্য ফ্রি ওষুধ নয়। প্রয়োজনে দোকান থেকে ওষধ কিনে খাওয়াবেন, কিন্তু ফ্রি ওষধ খাওয়াবেন না।
বি: দ্র: এসব ঔষধ কোন ডাক্তার বা স্বাস্থ্যকর্মী কিংবা শিক্ষকরা খাওয়াবে না। বাচ্চারা নিজেরাই নিজেদের খাওয়াবে, যাকে বলা হচ্ছে ক্ষুদে ডাক্তার কার্যক্রম। বাচ্চাদের গায়ে সাদা এপ্রন আর গলায় সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে বলা হচ্ছে খুদে ডাক্তার। অথচ ওষুধের গায়ে সব সময় লেখা থাকে, “শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।” কিন্তু খরচ কমিয়ে আনতে এসব ওষুধ বাচ্চাদের দিয়েই বাচ্চাদের খাওয়ানো হচ্ছে। ফলে ওষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ঘটে গেলে একজন বাচ্চা কি ব্যবস্থা নিবে সেটাও নিয়েও কোন আলোচনা নাই। যা সত্যিই বিপদজ্জনক। (বিস্তারিত পড়তে-https://bit.ly/2Ihyski)
সাম্প্রতিক সময়ে আলোচিত খবর : ভারতীয় ঔষধে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া, চুয়াডা্ঙ্গায় ছানী অপরেশন করাতে গিয়ে চোখ তুলে ফেলতো হলো ২০ ব্যক্তির। (https://bit.ly/2GY2xpy,https://bit.ly/2pSQKBG)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন