ধর্ষণের প্রধান কারণগুলা কী কী, পোশাক দায়ী কী না এইসব জানার আগে জানা দরকার, ধর্ষক কারা। একটা সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ অবশ্যই ধর্ষক হতে পারে না কিংবা ধর্ষণের সময় এরা অবশ্যই স্বাভাবিক থাকে না, পশু হয়ে পড়ে।
বাংলাদেশের ধর্ষকরা প্রধানত দুই শ্রেণীর....
১. এরা সর্বদাই মানসিক রোগী বিকৃতমনা পার্ভার্টেড!
২. এরা স্বাভাবিক মানসিকতারই মানুষ। কিন্তু চারপাশের পরিবেশের কারণে ধীরে ধীরে কিংবা সুযোগ পেয়ে পশু হয়ে ওঠে।
প্রথম প্রকারের চেয়ে দ্বিতীয় প্রকারের ধর্ষকদের পরিমাণ বেশি।
.
ধর্ষণের মূলত তিনটা জিনিস দায়ী। ১. যৌনোত্তেজক পরিবেশ ২. বিচারহীনতা ৩. পোশাক
.
যৌনোত্তেজক পরিবেশ নিয়া কিছু বলি।
বর্তমানে আমরা একটা যৌন ওয়ার্ল্ডে বাস করছি। ফেসবুকে ঢুকলেন, দেখবেন বিভিন্ন পেইজে কু-ইঙ্গিতপূর্ণ জোক্স। টিভি বিজ্ঞাপনগুলোতে দেখানো হয়, " যখন ব্যাপারটা অস্কার, তখন প্রাইভেসি দরকার।" বন্ধু ছাড়া লাইফ ইম্পসিবল বলে, ছেলেমেয়ে একজন আরেকজনের উপর ঢলে পড়ছে। রাস্তায় বড় বড় বিলবোর্ডে নারীদেহের স্পর্শকাতর অংগের সুস্পষ্ট ছবি! এসব পরিবেশ স্বাভাবিক মানুষকে অস্বাভাবিক করে তুলে!
.......ভারতের সমাজবিজ্ঞানীরা তাদের দেশে ধর্ষণ বেড়ে যাওয়ার জন্যে আইটেম সং কে দায়ী করেছেন। এইসব গানে সংক্ষিপ্ত পোশাকে প্রবল শব্দে উচ্চ বাজনায় নাচানাচি হয়। লাইটিংটাও হয় আলো-আঁধারিপূর্ণ। যখন এগুলো দর্শকরা দেখতে থাকে ধীরে ধীরে তার ভেতরের পশুবৃত্তি জেগে ওঠে। সে ভুলে যায় সে মানুষ। দীর্ঘসময় এই গানের রেশ তার মাথায় থেকে যায়। শেষে বিভিন্ন বিকৃত পন্থায় তার এই কুপ্রবৃত্তি চরিতার্থ করে!
.
এবার আসি বিচারহীনতার কথায়। বাংলাদেশে ধর্ষণের বিচার হয় না। যত বড় পাষন্ডই হোক, বিকৃতমনাই হোক, মাইর খাইলে যে, কষ্ট লাগে সেইটা সবাই বুঝে। ফাঁসির দড়ির যন্ত্রণা ভয়ানক, সেটা সবাই জানে। যদি দেখে ঠিকমতো বিচার হচ্ছে, ফাঁসি হচ্ছে, সে ভয় পাবেই। যুবলীগের যত বড় নেতাই হোক, নির্যাতনের আগে ১০ বার ভাববে!
.
এইবার পোশাক প্রসঙ্গ। শাহবাগিরা ওঁৎ পেতে থাকে, কখন একটা হিজাবী মেয়ে অথবা বাচ্চা মেয়ে ধর্ষিতা হবে, আর এরা বলবে, "এইবার দেখছো? ধর্ষণের জন্যে যদি পোশাক দায়ী হবে, তাইলে এই ৫ বছরের মেয়ে ধর্ষিতা হইলো কেন, এই হিজাবী ধর্ষিতা হইলো কেন?"
......ওরে মূর্খের দল! মন দিয়া শোন। ভার্সিটির রিকশাওয়ালা মামাদের ৫ টাকার জায়গায় ১৫ টাকা দিতে চাইছি। তবু তারা যাবে না। কারণ এরা টাইট গেঞ্জি পরা মেয়েদের ভলিবল খেলা দেখতেছিলো! "মামা, রিকশা তো সারাজীবনই চালাইতে পারবো, কিন্তু এই খেলা প্রতিদিন পাবো না!"
এইসব রিকশাওয়ালারা ভলিবল খেলোয়ারদের তো আর কিচ্ছু করতে পারে না, তখন বাইরে আইসা ৫ বছরের মেয়েরে জাপটাইয়া ধরে।
.
ভার্সিটির ম্যাডাম যখন নাভিতে রিং পইরা ক্লাসে ঢুকে, ছেলেরা তখন শিস বাজায়। "উফফ... মালটা রে..." বলে বন্ধুরা মিলে টিপ্পনী কাটে! ম্যাডামের নাভি দেইখ্যা এক্সাইটেড হইলেও এরা তো আর ম্যাডামকে কিছু করতে পারবে না, তখন বাইরে এসে অন্য কারও উপর তার পশুবৃত্তি চরিতার্থ করে। পোশাকের ব্যাপারটা বুঝছেন এখন? একজনের জন্যে আরেকজন ভিকটিম হয়!
পোশাক একমাত্র দায়ী না, তবে পোশাক অবশ্যই একটা কারণ! বুঝা গেলো?
.
একটা মেয়ে উলঙ্গ থাকলেও তারে ধর্ষণের অধিকার কারও নাই। কিন্তু আপনি কারে অধিকার শিখাইতে আসতেছেন? ধর্ষক তো মানসিক রোগী। ধর্ষকরে আমরা সাপের সাথে তুলনা করতে পারি। আপনি যদি আপনার বাড়ির উঠানে জঙ্গল বানাইয়া রাখেন, সেখানে সাপ আসবে। আপনাকে কামড়াবে। আপনি বলতে পারবেন না, আমি জঙ্গল বানাইয়া রাখলেই কি সাপের আসার অধিকার আছে? না,নাই। কিন্তু সে তো সাপ। সে এইগুলা বুঝবে কেন? কামড়ানোর পর সাপ মারবেন ঠিক আছে, কিন্তু কামড় থেইকা বাঁচার জন্য নিজে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকাটাই বুদ্ধিমানের কাজ!
.
বড় বড় থিওরেটিকাল ডায়লগ সবাই দিতে পারে। কিন্তু যার হারায়, যে ভিকটিম হয়, সে বুঝে কত যন্ত্রণা! ঢাকা শহরের শাহবাগি সোসাইটির কেউ যুক্তি দিল, আমি সারারাত বাইরে থাকলেও কেউ ধর্ষণ করার অধিকার নাই, শুইন্যা আপনি আপনার বইনরে বাইরে পাঠাইয়া দিলেন। ঘটনা একটা ঘটলে এর দায় এরা কেউ নিবে না। আপনাকে, আপনার ফ্যামিলিকেই ভোগ করতে হবে! ওকে?
.......আর সিনেমার ডায়লগ নকল কইরা no means no, stop rape লেইখ্যা প্রোপিক দিয়া, আপনারা রেপ বন্ধ কইরা দিবেন, এইটা ভাবা বেকুবদের কাজ। চারপাশের যৌনোত্তেজক পরিবেশ সৃষ্টি করবেন, আর সিলেক্টিভ দুয়েকটা দেখাইন্যা প্রতিবাদ করবেন, গরীব কিংবা পলিটিকাল লিডারের লালসার শিকার হইলে চুপ কইরা থাকবেন, তাইলে কোনোদিনই ধর্ষণ বন্ধ হবে না! বাংলাদেশ ধীরে ধীরে ধর্ষণের রাষ্ট্রে পরিণত হবে, এইটাই বাস্তবতা!
১. এরা সর্বদাই মানসিক রোগী বিকৃতমনা পার্ভার্টেড!
২. এরা স্বাভাবিক মানসিকতারই মানুষ। কিন্তু চারপাশের পরিবেশের কারণে ধীরে ধীরে কিংবা সুযোগ পেয়ে পশু হয়ে ওঠে।
প্রথম প্রকারের চেয়ে দ্বিতীয় প্রকারের ধর্ষকদের পরিমাণ বেশি।
.
ধর্ষণের মূলত তিনটা জিনিস দায়ী। ১. যৌনোত্তেজক পরিবেশ ২. বিচারহীনতা ৩. পোশাক
.
যৌনোত্তেজক পরিবেশ নিয়া কিছু বলি।
বর্তমানে আমরা একটা যৌন ওয়ার্ল্ডে বাস করছি। ফেসবুকে ঢুকলেন, দেখবেন বিভিন্ন পেইজে কু-ইঙ্গিতপূর্ণ জোক্স। টিভি বিজ্ঞাপনগুলোতে দেখানো হয়, " যখন ব্যাপারটা অস্কার, তখন প্রাইভেসি দরকার।" বন্ধু ছাড়া লাইফ ইম্পসিবল বলে, ছেলেমেয়ে একজন আরেকজনের উপর ঢলে পড়ছে। রাস্তায় বড় বড় বিলবোর্ডে নারীদেহের স্পর্শকাতর অংগের সুস্পষ্ট ছবি! এসব পরিবেশ স্বাভাবিক মানুষকে অস্বাভাবিক করে তুলে!
.......ভারতের সমাজবিজ্ঞানীরা তাদের দেশে ধর্ষণ বেড়ে যাওয়ার জন্যে আইটেম সং কে দায়ী করেছেন। এইসব গানে সংক্ষিপ্ত পোশাকে প্রবল শব্দে উচ্চ বাজনায় নাচানাচি হয়। লাইটিংটাও হয় আলো-আঁধারিপূর্ণ। যখন এগুলো দর্শকরা দেখতে থাকে ধীরে ধীরে তার ভেতরের পশুবৃত্তি জেগে ওঠে। সে ভুলে যায় সে মানুষ। দীর্ঘসময় এই গানের রেশ তার মাথায় থেকে যায়। শেষে বিভিন্ন বিকৃত পন্থায় তার এই কুপ্রবৃত্তি চরিতার্থ করে!
.
এবার আসি বিচারহীনতার কথায়। বাংলাদেশে ধর্ষণের বিচার হয় না। যত বড় পাষন্ডই হোক, বিকৃতমনাই হোক, মাইর খাইলে যে, কষ্ট লাগে সেইটা সবাই বুঝে। ফাঁসির দড়ির যন্ত্রণা ভয়ানক, সেটা সবাই জানে। যদি দেখে ঠিকমতো বিচার হচ্ছে, ফাঁসি হচ্ছে, সে ভয় পাবেই। যুবলীগের যত বড় নেতাই হোক, নির্যাতনের আগে ১০ বার ভাববে!
.
এইবার পোশাক প্রসঙ্গ। শাহবাগিরা ওঁৎ পেতে থাকে, কখন একটা হিজাবী মেয়ে অথবা বাচ্চা মেয়ে ধর্ষিতা হবে, আর এরা বলবে, "এইবার দেখছো? ধর্ষণের জন্যে যদি পোশাক দায়ী হবে, তাইলে এই ৫ বছরের মেয়ে ধর্ষিতা হইলো কেন, এই হিজাবী ধর্ষিতা হইলো কেন?"
......ওরে মূর্খের দল! মন দিয়া শোন। ভার্সিটির রিকশাওয়ালা মামাদের ৫ টাকার জায়গায় ১৫ টাকা দিতে চাইছি। তবু তারা যাবে না। কারণ এরা টাইট গেঞ্জি পরা মেয়েদের ভলিবল খেলা দেখতেছিলো! "মামা, রিকশা তো সারাজীবনই চালাইতে পারবো, কিন্তু এই খেলা প্রতিদিন পাবো না!"
এইসব রিকশাওয়ালারা ভলিবল খেলোয়ারদের তো আর কিচ্ছু করতে পারে না, তখন বাইরে আইসা ৫ বছরের মেয়েরে জাপটাইয়া ধরে।
.
ভার্সিটির ম্যাডাম যখন নাভিতে রিং পইরা ক্লাসে ঢুকে, ছেলেরা তখন শিস বাজায়। "উফফ... মালটা রে..." বলে বন্ধুরা মিলে টিপ্পনী কাটে! ম্যাডামের নাভি দেইখ্যা এক্সাইটেড হইলেও এরা তো আর ম্যাডামকে কিছু করতে পারবে না, তখন বাইরে এসে অন্য কারও উপর তার পশুবৃত্তি চরিতার্থ করে। পোশাকের ব্যাপারটা বুঝছেন এখন? একজনের জন্যে আরেকজন ভিকটিম হয়!
পোশাক একমাত্র দায়ী না, তবে পোশাক অবশ্যই একটা কারণ! বুঝা গেলো?
.
একটা মেয়ে উলঙ্গ থাকলেও তারে ধর্ষণের অধিকার কারও নাই। কিন্তু আপনি কারে অধিকার শিখাইতে আসতেছেন? ধর্ষক তো মানসিক রোগী। ধর্ষকরে আমরা সাপের সাথে তুলনা করতে পারি। আপনি যদি আপনার বাড়ির উঠানে জঙ্গল বানাইয়া রাখেন, সেখানে সাপ আসবে। আপনাকে কামড়াবে। আপনি বলতে পারবেন না, আমি জঙ্গল বানাইয়া রাখলেই কি সাপের আসার অধিকার আছে? না,নাই। কিন্তু সে তো সাপ। সে এইগুলা বুঝবে কেন? কামড়ানোর পর সাপ মারবেন ঠিক আছে, কিন্তু কামড় থেইকা বাঁচার জন্য নিজে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকাটাই বুদ্ধিমানের কাজ!
.
বড় বড় থিওরেটিকাল ডায়লগ সবাই দিতে পারে। কিন্তু যার হারায়, যে ভিকটিম হয়, সে বুঝে কত যন্ত্রণা! ঢাকা শহরের শাহবাগি সোসাইটির কেউ যুক্তি দিল, আমি সারারাত বাইরে থাকলেও কেউ ধর্ষণ করার অধিকার নাই, শুইন্যা আপনি আপনার বইনরে বাইরে পাঠাইয়া দিলেন। ঘটনা একটা ঘটলে এর দায় এরা কেউ নিবে না। আপনাকে, আপনার ফ্যামিলিকেই ভোগ করতে হবে! ওকে?
.......আর সিনেমার ডায়লগ নকল কইরা no means no, stop rape লেইখ্যা প্রোপিক দিয়া, আপনারা রেপ বন্ধ কইরা দিবেন, এইটা ভাবা বেকুবদের কাজ। চারপাশের যৌনোত্তেজক পরিবেশ সৃষ্টি করবেন, আর সিলেক্টিভ দুয়েকটা দেখাইন্যা প্রতিবাদ করবেন, গরীব কিংবা পলিটিকাল লিডারের লালসার শিকার হইলে চুপ কইরা থাকবেন, তাইলে কোনোদিনই ধর্ষণ বন্ধ হবে না! বাংলাদেশ ধীরে ধীরে ধর্ষণের রাষ্ট্রে পরিণত হবে, এইটাই বাস্তবতা!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন