ধর্মীয় পরিভাষার মধ্যে আরেকটি মাযলুম শব্দ হলো "শবে বরাত"। এটি এমন এক পরিভাষা যাতে উভয়পক্ষীয় বাড়াবাড়ি সমহারে বিদ্যমান। যারা "শবে বরাত"কে ছেড়ে দিতে চান, তারা এই রাতের উৎস ফজিলত ও সিদ্ধিতার জলাঞ্জলি দিয়ে বলেন, শবে বরাত বলতে শরীয়তে কিছুই নেই। এ সম্পর্কে সহীহ কোন রিওয়ায়েত বর্ণিত নেই। আবার যারা এই রাত আকড়ে ধরেছেন তারা তো ফিরনি পায়েস আর হালুয়ার মিষ্টতায় মোহিত করে রেখেছেন। তাদের কাছে শবে বরাত মানে তৃতীয় কোন উৎসব।
শবে বরাতের এই বাড়াবাড়ি আর ছাড়াছাড়িতে মুসলিম উম্মাহের হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়, যা কেবল সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত নয় বরং আকাবীরে উম্মতের কাছে গুরুত্বের সাথে পালনীয়। শবে বরাত যে ফজিলতপূর্ণ একটি রাত এ ব্যাপারে সন্দেহের কোন অবকাশ নেই। এ রাতকে ফজিলতের রাত হিসেবে অস্বীকার করা প্রকারান্তরে সহীহ হাদীসকেই অস্বীকার করা। একাধিক রিওয়ায়েতে শবে বরাতের ফজিলত উল্লেখ করা হয়েছে। যেমন হযরত মুআয ইবনে জাবাল বলেন, নবী করীম স. ইরশাদ করেছেন, "আল্লাহ তাআলা অর্ধ-শাবানের রাতে (শাবানের চৌদ্দ তারিখ দিবাগত রাতে) সৃষ্টির দিকে (রহমতের) দৃষ্টি দেন এবং মুশরিক ও বিদ্বেষ পোষণকারী ব্যতীত আর সবাইকে ক্ষমা করে দেন।"
উপরোক্ত হাদীসটি অনেক নির্ভরযোগ্য হাদীসের কিতাবেই নির্ভরযোগ্য সনদের মাধ্যমে বর্ণিত হয়েছে। এ হাদীসটির মান সহীহ। এজন্যই ইমাম মুহাম্মাদ ইবনে হিব্বান তার কিতাবুস সহীহে ১৩/৪৮১ তে এই হাদীসটি উদ্ধৃত করেছেন। এটি এই কিতাবের ৫৬৬৫ নং হাদীস। এ ছাড়া ইমাম বাইহাকী (রহঃ) শুআবুল ঈমানে (৩/৩৮২, হাদীস ৩৮৩৩); ইমাম তাবরানী আল মুজামুল কাবীর ও আল মুজামুল আওসাতে বর্ণনা করেছেন। এ ছাড়াও আরো বহু হাদীসের ইমাম তাদের নিজ নিজ কিতাবে হাদীসটি উল্লেখ করেছেন। ইমাম মনযিরী, ইবনে রজব, নূরুদ্দীন হাইসামী, কাস্তাল্লানী, যুরকানী এবং অন্যান্য হাদীস বিশারদ এই হাদীসটিকে আমলযোগ্য বলেছেন। দেখুন আততারগীব ওয়াততারহীব ২/১৮৮; ৩/৪৫৯. লাতায়েফুল মাআরিফ ১৫১; মাজমাউয যাওয়ায়েদ ৮/৬৫; শারহুল মাওয়াহিবিল লাদুন্নিয়্যা ১০/৫৬১।
বর্তমান সময়ের প্রসিদ্ধ শায়খ নাসিরুদ্দিন আলবানী (রহঃ) সিলসিলাতুল আহাদসিস্ সাহীহা ৩/১৩৫-১৩৯ এ এই হাদীসের সমর্থনে আরো আটটি হাদীস উল্লেখ করার পর লেখেনঃ
وجملة القول أن الحديث بمجموع هذه الطرق صحيح بلاريب. والصحة تثبت بأقل منها عددا، مادامت سالمة من الضعف الشديد، كماهو الشأن فى هذاالحديث .
"এ সব রেওয়াতের মাধ্যমে সমষ্টিগত ভাবে এই হাদীসটি নিঃসন্দেহে সহীহ প্রমাণিত হয়।" তারপর আলবানী (রহঃ) ওই সব লোকের বক্তব্য খন্ডন করেন যারা কোন ধরণের খোঁজখবর ছাড়াই বলে দেন যে, শবে বরাতের ব্যাপারে কোন সহীহ হাদীস নেই।
শবে বরাত নিঃসন্দেহে অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ রাত। এ রাত্রে আল্লাহ পাক বান্দাদের ওপর বিশেষ অনুগ্রহ দান করে থাকেন। কিন্তু সে অনুগ্রহ পেতে হলে বান্দাদেরকে শরীয়তের গণ্ডির মধ্য থেকে ইবাদাত পালনে মনোযোগী হতে হবে। বড় আফসোস আর দুঃখের কথা হচ্ছে, এত মাহাত্ম্যপূর্ণ রাতকে আমাদের কিছু অবুঝ ভাই নষ্ট করে ফেলেন। তারা যে শরীয়ত বহির্ভূত বিভিন্ন কাজে জড়িয়ে শবে বারাতের মর্যাদারই কেবল হানী করছেন তা নয়; অবান্তর সেসব কর্মকাণ্ড দেখে চতুর একদল মানুষ খোদ শবে বরাতকেই অস্বীকার করে বসছে। জানি না কী স্বার্থ লুকানো রয়েছে।
আজকাল শবে বরাত উপলক্ষে যেসব ভ্রান্ত বিশ্বাস ও আমল প্রচলিত রয়েছে যেমনঃ "এ রাতে গোসল করাকে সওয়াবের কাজ মনে করা, মৃত ব্যক্তিদের রূহ এ রাতে দুনিয়ায় তাদের আত্মীয়স্বজনের গৃহে আসা, এ রাতে হালুয়া রুটি তৈরী করে নিজেরা খাওয়া ও অন্যকে দেয়া। বাড়ীতে বাড়ীতে এমনকি মসজিদে মসজিদেও মীলাদ পড়া । আতশবাযী করা ,সরকারী- বেসরকারী ভবনে আলোক সজ্জা করা । কবরস্থানগুলো আগরবাতি ও মোমবাতি দিয়ে সজ্জিত করা। লোকজন দলে দলে কবরস্থানে যাওয়া। লোকজনকে ডেকে ডেকে মসজিদে নিয়ে আড়ম্বরপূর্ণ পরিবেশে নামায যিকির-আযকারে লিপ্ত থাকা ইত্যাদি" এজাতীয় কাজ নিঃসন্দেহে পরিত্যাজ্য। কোরআন ও হাদীসের সাথে শবে বরাতের প্রচলিত এইসব আমলের সাথে কোন সম্পর্ক নেই। (দেখুনঃ ইকতিযাউস সিরাতিল মুসতাকীম ২/৬৩১-৬৪১; মারাকিল ফালাহ ২১৯)
তবে 'নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাহাবায়ে কেরাম ও খেলাফতের যামানায় শবে বরাতকে এত আড়ম্বরের সাথে পালন করেননি' একথা যেমন সহীহ, তেমনি একথাও বিশুদ্ধ যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, সাহাবায়ে কেরাম শাবানের ১৫তম রাত অর্থাৎ শবে বরাতকে অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে নিয়েছেন। স্বয়ং নবী করীম সা. এ রাতকে নামায ও দুয়ার মাধ্যমে কাটিয়েছেন এবং উম্মতকে এ রাতের ফজিলত শুনিয়ে ইবাদাতে মশগুল হওয়ার প্রতি উদ্বুদ্ধ করেছে। যেমনটি পূর্বে আমরা জেনেছি।
এছাড়াও উম্মুল মু'মিনীন আয়েশা রা. থেকে আরো একটি রিওয়ায়েত বর্ণিত, তিনি বলেন, একবার রাসূলুল্লাহ (স.) রাতে নামাযে দাঁড়ান এবং এত দীর্ঘ সেজদা করেন যে, আমার ধারণা হল তিনি হয়ত মৃত্যুবরণ করেছেন। আমি তখন উঠে তার বৃদ্ধাঙ্গুলি নাড়া দিলাম। তার বৃদ্ধাঙ্গুলি নড়ল। যখন তিনি সেজদা থেকে উঠলেন এবং নামায শেষ করলেন তখন আমাকে লক্ষ্য করে বললেন, "হে আয়েশা! অথবা বলেছেন, ও হুমাইরা! তোমার কি এই আশংকা হয়েছে যে, আল্লাহর রাসূল তোমার হক নষ্ট করবেন?" আমি উত্তরে বললাম, "না, ইয়া রাসূলাল্লাহ। আপনার দীর্ঘ সেজদা থেকে আমার এই আশংকা হয়েছিল, আপনি মৃত্যুবরণ করেছেন কিনা।" নবীজী জিজ্ঞেস করলেন, "তুমি কি জান এটা কোন রাত্র?" আমি বললাম, "আল্লাহ ও তার রাসূলই ভাল জানেন।" রাসূলুল্লাহ সা. তখন ইরশাদ করলেন,
‘এটা হল অর্ধ শাবানের রাত (শাবানের চৌদ্দ তারিখের দিবাগত রাত)। আল্লাহ তাআলা অর্ধ-শাবানের রাতে তার বান্দার প্রতি মনযোগ দেন এবং ক্ষমাপ্রার্থনাকারীদের ক্ষমা করেন এবং অনুগ্রহ প্রার্থীদের অনুগ্রহ করেন আর বিদ্বেষ পোষণকারীদের ছেড়ে দেন তাদের অবস্থাতেই।‘ [শুআবুল ঈমান, বাইহাকী ৩/৩৮২-৩৬৮]
এ হাদীস দ্বারা বুঝা যায় শাবানের পনেরতম এ রজনীকে রাসূল সা. অনেক গুরুত্বের সাথে দেখেছেন। তাই আমদেরও উচিত সহীহ তরীকায় ইবাদতের মাধ্যমে এ রাত অতিবাহিত করা। শবে বরাতের রাতে করণীয় সম্পর্কে সহজে বুঝার আমলগুলো সঠিক পদ্ধতিসহ তুলে ধরা হলো।
এক. এই রাতে কবর যিয়ারত করা যেতে পারে, তবে তা অবশ্যই দলবদ্ধ ও আড়ম্বরপূর্ণ না হয়ে একাকী হওয়া উচিত এবং এই কবর যিয়ারতকে জরুরি মনে না করা।
দুই. শবে বরাতের রাত্রিতে নামায-দুআ, কুরআন তিলাওয়াত, যিকির-আযকার, দরূদ শরীফ ইত্যাদিতে লিপ্ত থাকা আর এই আমলগুলো নিজ নিজ বাড়িতে একাকীভাবেই করা বাঞ্চনীয়। সম্মিলিতভাবে মসজিদে এসব আমল করা থেকে বর্তমান সময়ে বিরত থাকা জরুরি। সবসময় মনে রাখা চাই, নফল নামায বাড়িতেই পড়া উত্তম আর এ রাতে মসজিদে সমাগম করে সম্মিলিতভাবে আমলের প্রথা যেহেতু ইসলামের প্রাকযুগে প্রচলিত ছিল না। তাই ডেকে ডেকে সকলকে মসজিদে নেওয়া বা মসজিদেই গিয়েই আমল করতে হবে, একে জরুরী মনে করা বিদয়াতের অন্তর্ভুক্ত হবে। হ্যাঁ, যদি এরকম হয় যে, কোথাও কোন মসজিদে ডাকা ছাড়াই দু চার জন লোক একত্রিত হয়ে প্রত্যকেই ভিন্ন ভিন্নভাবে আমলে লিপ্ত থাকে অথবা বাড়িতে উপযুক্ত পরিবেশ না থাকায় কেউ মসজিদে গিয়ে আমলে মাশগুল থাকে তাহলে এটা কোনভাবেই বিদয়াতের পর্যায়ে হবে না। (বিষয়টা সুস্থ মস্তিষ্কে বুঝার অনুরোধ রইল)
তিন. শবে বরাতের পরের দিন অর্থাৎ ১৫ই শাবান রোযা রাখা মুস্তাহাব । সুনানে ইবনে মাজাহ এ পনেরো শা‘বান রাত সম্পর্কে উল্লেখিত হয়েছে : "এই রাত জেগে ইবাদত কর এবং দিনে (অর্থাৎ পনেরো শা’বান) রোযা রাখ।"
শায়খ আলবানী ‘সিলসিলাতুয যয়ীফা’ (৫/১৫৪) তে এই বর্ণনাকে ‘মওজূউস সনদ’ লিখেছেন। অনেক ভাই শায়খ আলবানীর এই তাখরিজের উপর ভিত্তি করে পনেরো শাবানের রোযাকে মুস্তাহাব বলতে অসম্মত। কিন্তু বাস্তব কথা হলো পনেরো শাবানের রোযা মুস্তাহাব আর ইবনে মাজাহর উপরোক্ত হাদীসটি ‘মওজু’ তো কখনোই নয়। তবে সনদের দিক থেকে ‘জয়ীফ’। যেহেতু ফাযাইলের ক্ষেত্রে ‘জয়ীফ’ গ্রহণযোগ্য তাই আলিমগণ শবে বরাতের ফযীলতের ব্যাপারে এ হাদীস বয়ান করে থাকেন।
শায়খ আলবানী ‘সিলসিলাতুয যয়ীফা’ (৫/১৫৪) তে এই বর্ণনাকে ‘মওজূউস সনদ’ লিখেছেন। অর্থাৎ এর ‘সনদ’ মওজূ। যেহেতু অন্যান্য ‘সহীহ’ বর্ণনা উপরোক্ত বর্ণনার বক্তব্যকে সমর্থন করে সম্ভবত এজন্যই শায়খ আলবানী সরাসরি ‘মওজূ’ না বলে ‘মওজূউস সনদ’ বলার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছেন। তথাপি শায়খ আলবানীর এই ধারণা ঠিক নয়। সঠিক কথা এই যে, এই বর্ণনা ‘মওজূ’ নয়, শুধু ‘জয়ীফ’। ইবনে রজব রাহ. প্রমুখ বিশেষজ্ঞদের এই মতই আলবানী সাহেব নিজেও বর্ণনা করেছেন।
এ প্রসঙ্গে আলবানী সাহেব যে সমস্যার মুখোমুখি হয়েছেন তা এই যে, এ বর্ণনার সনদে ‘ইবনে আবী ছাবুরা’ নামক একজন রাবী রয়েছেন। তার সম্পর্কে হাদীস জাল করার অভিযোগ রয়েছে। অতএব এই বর্ণনা ‘মওজু’ হওয়া উচিত। তবে এই ধারণা এ জন্য সঠিক নয় যে, ইবনে আবী সাবুরাহ সম্পর্কে উপরোক্ত অভিযোগ ঠিক নয়। তার সম্পর্কে খুব বেশি হলে এটুকু বলা যায় যে, জয়ীফ রাবীদের মতো তার স্মৃতিশক্তিতে দুর্বলতা ছিল। রিজাল শাস্ত্রের ইমাম আল্লামা যাহাবী রাহ. পরিষ্কার লিখেছেন যে, ‘স্মৃতিশক্তির দুর্বলতার কারণেই তাকে জয়ীফ বলা হয়েছে।’ দেখুন সিয়ারু আলামিন নুবালা ৭/২৫০, ( এব্যাপারে আল কাউসারে বিস্তারিত আলোচনা রয়েছে। পড়ে দেখার অনুরোধ থাকল)
আলোচনার শেষাংশে এইটুকু বলবো যে, আল্লাহ যদি তাঁর বান্দাদেরকে ক্ষমা করেন, যদি অসংখ্য লোক আল্লাহর কৃপা লাভ করেন, তবে কোন যুক্তিতে বাধা আসবে? কোন ভাল জিনিসে জটিলতা সৃষ্টিতে কী লাভ? জট বাঁধাতে ইচ্ছে করলে অনেক বিষয়ে ‘সহীহ হাদিস’ টেনেও বাঁধানো যেতে পারে। ঝামেলা সৃষ্টি করা যেতে পারে। মনে রাখতে হবে কুতর্কে আল্লাহ নেই। তিনি সুতর্ক ও বিশ্বাসে ধরা দেন।
যেসব মানুষ এতকাল ধরে শবে বরাত পালন করে আসছে তাদের সামনে বিদ্যার প্যাঁচ মেরে শবে বরাতের গুরুত্ব ও মহিমা খাটো করে ব্যাখ্যা হাজির করা যাবে বটে কিন্তু এতে ধর্মের কোন উপকার হবে না। শুধু এই একটি রাতে কত শত সহস্র লোক আল্লাহর দিকে রুজু হয়ে ইবাদত বন্দেগী করে, আল্লাহর নাম নেয়, নামাজ পড়ে, জিকির আযকার করে। এই সুবাদে তাদের ছেলেমেয়েরাও ইবাদতের এহসাস লাভ করে –কান্নাকাটি করে। কিন্তু বিদ্যার ঠাকুর এসে যদি সে রাতের দুয়ারে তালা লাগিয়ে দেন তবে সর্বসাধারণ কী করবে?
মনে রাখা দরকার যে, যেখানে বিদআতের স্থান নেই সেখানে বিদআত আবিষ্কার করা ঠিক নয়। মধ্য শাবানের রাতে যারা বিদআত করে, তাদের সেই বিদআতের বিপক্ষেই কথা বলা উচিৎ, সেই ভ্রান্তপন্থা কীভাবে দূর করা যায় তার উপায় অবলম্বন করা উচিৎ। মানুষকে শবে বরাতের বিদয়াত থেকে বাঁচিয়ে রাখা উচিৎ। খোদ শবে বরাত থেকে নয়। এই রাতে নামাজ পড়া, কোরাআন পড়া, মাসনূন দুয়া করা ও জিকির আযকার করা –এসব ঠিক আছে। কিন্তু যারা বর্ণিত তরিকার বাইরে গিয়ে নানান গদবাধা প্রথা তৈরি করে -তা থেকে মানুষকে সতর্ক করা দরকার। খোদ শবে বরাত থেকে নয়।
আল্লাহ আমাদেরকে সঠিক বুঝ দান করুন।
২৪০৪১৮, সিরাজগঞ্জ
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন